সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের ফর্মুলা গুজরাটেও। নির্বাচন ঘোষণা হতেই মোদির রাজ্যে নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) ন্যাশনাল কনভেনর অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রাক্তন সাংবাদিক তথা টেলিভিশন সঞ্চালক ইসুদান গড়বিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে এগোতে চাইছে আপ (AAP)। ৪০ বছর বয়সি এই সাংবাদিক গতবছর জুন মাসেই আপে যোগ দেন।
পাঞ্জাব নির্বাচনের আগে মিসড কল এবং এসএমএসের মাধ্যমে সমর্থকদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল আপ। একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় গুজরাটের ক্ষেত্রেও। কয়েক সপ্তাহ আগে মোবাইল আর ই-মেলে ভোটারদের মতামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে আপ। সেই ভোটের ফলাফল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ইসুদান গড়বি ছাড়াও আম আদমি পার্টির গুজরাট ইউনিটের প্রধান গোপাল ইটালিয়া ছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে। ইটালিয়াকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে দেন ইসুদান। তিনি পান প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট।
স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির নেতা হিসাবে গুজরাটে (Gujarat) পরিচিত ইসুদান। একটা সময় দূরদর্শনে কাজ করেছেন। তারপর গুজরাটের বেশ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্পাদক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিক হিসাবে মানুষের ইস্যু তুলে আনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সাংবাদিক থাকাকালীন গুজরাটে একাধিক বড়সড় দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেন তিনি। ইসুদানের (Isudan Gadhvi) সেই ভাবমূর্তিকেই কাজে লাগাতে চাইছে আপ। তাছাড়া কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ার সৌজন্যে গুজরাটের বড় অংশের কৃষিজীবীদেরও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাঞ্জাবে আগেভাগে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বেছে নিয়ে সাফল্যে পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল, গুজরাটেও তেমনটাই আশা তাঁর।
টানা ২৭ বছর ক্ষমতায় থাকায় গুজরাটে সরকার বিরোধী হাওয়া প্রবল। তারপর মোরবির দুর্ঘটনা ‘গোদের ওপর বিষফোড়া’র মতো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। গতবারই পাঁচবারের মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে জয় পায় মোদি-অমিত শাহদের দল। ১৮২ আসনের মধ্যে ঝুলিতে আসে ৯৯টি। কংগ্রেস পায় ৭৭ আসন। অন্যান্যরা ৬টি। এর মাঝে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। পাঁচবছরে মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। শাসক বিজেপি (BJP) ও প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় এলে রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ২০১৭ এর নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দল এই রাজ্যে কোনও প্রভাব না ফেলতে পারলেও এবার দাগ কাটবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.