দিল্লিতে বিজেপির হয়ে প্রচারে চালাচ্ছেন শাহ ও যোগী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটপ্রাচরে হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পালটা চাল হিসেবে অন্য মেরুকরণের কৌশল নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ বনাম যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) শিবিরের মধ্যে ‘বিভেদ’ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন কেজরি?
গতকাল কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী রামবীর সিংহ বিধুরির সমর্থনে প্রচারসভায় শাহ বলেন, “এ দেশে রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কোনও জনসমর্থন নেই। অথচ পাকিস্তানে তাঁদের জনসমর্থন রয়েছে।” এই বক্তব্যের জবাবে কেজরি বলেন, “তবে কি যেখানে আমাদের সরকার রয়েছে, সেই দিল্লি ও পঞ্জাবের সকলেই পাকিস্তানপন্থী? গুজরাটেও আপ ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাহলে ধরে নিতে হবে যে তাঁরাও আদতে পাকিস্তানি।” এখানেই না থেকে শাহকে আপ সুপ্রিমোর কটাক্ষ, এ বারের নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হতে চলেছে। ফলে পাঁচ বছর বাদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে সুপ্ত বাসনা তাঁর মনে রয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়।
এদিকে দিল্লিতে বিজেপির হয়ে প্রচারে চালাচ্ছেন শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ। একাধিক সভায় দিল্লি সরকারের দুর্নীতি ও কেজরিওয়ালের অপশাসনের অভিযোগে সরব হয়েছেন যোগী। এর বিরুদ্ধে নয়া চাল হিসেবে মোদি-শাহ বনাম যোগী শিবিরের ‘বিভেদ’ উসকে দিয়েছেন কেজরি। তিনি বলেন, “আপনার শত্রু দলেই রয়েছে…।” কেজির দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বদলে ফেলবেন মোদি-শাহ। “আমার বদলে আপনি আগে ওঁদের সামলান।” সত্যিই কি এমনটা ঘটতে চলেছে?
জামিনে মুক্ত হওয়ার পরেই কেজরি দাবি করেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদির মিশন হল—এক দেশ, এক নেতা।” ভারতে দ্বিতীয় জনপ্রিয় নেতা থাকবেন না। এমনকী বিজেপির কোনও প্রভাবশালী নেতাকেও রেয়াত করা হবে না। একই কারণে একে একে সাইড লাইন করে দেওয়া হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, মনোহরলাল খট্টরদের।
বিজেপি একটি অংশ মনে করে মোদির পরে প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়ার যোগ্য উত্তরপ্রদেশের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী যোগীই। উপরন্তু তিনি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠও বটে। অন্য দল মোদির উত্তরসূরি হিসেবে অমিত শাহকে চায়। ভোটপ্রচারে গেরুয়া শিবিরের এই দ্বন্দ্ব উসকে দিতে চাইছে কেজরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.