ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলের গরাদে দুই তালা। যার একটির (ইডি) চাবি ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। তবে অন্য তালার (সিবিআই) চাবি পেতে দিশেহারা অবস্থা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। বুধবার দিল্লি হাই কোর্টে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে জামিন মামলার শুনানিতেই এবার উঠে এল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ। কেজরির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানালেন, ইমরান যাতে জেল থেকে যাতে বের হতে না পারেন তার জন্য যেভাবে একের পর মামলা চাপানো হয়েছে। ঠিক সেভাবেই কেজরির ক্ষেত্রে ইডির পর সিবিআই ‘তালা’ ঝোলানো হয়েছে।
দিল্লি হাই কোর্টে কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন জানিয়ে তাঁর আইনজীবী সিংভি বলেন, “ট্রায়াল কোর্টে কিছুদিন আগেই জামিন দেওয়া হয়েছে আমার মক্কেলকে। আমি সিবিআইকে সম্মান করি। তবে সম্প্রতি আমরা সকলেই খবরের কাগজে পড়েছি, একের পর এক মামলায় ইমরান খানকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেদিন তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তার পর দিনই অন্য কোনও মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাঁর বিরুদ্ধে আরও বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আমরা ভারতে দেখতে চাই না।”
সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারিকে ‘ইনসুরেন্স অ্যারেস্ট’ বলে কটাক্ষ করে সিংভি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ৩ বার আদালতে জামিন পেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্টে ২ বার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন তিনি। নিম্ন আদালতও তাঁকে জামিন দিয়েছে। জামিন পাওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমার মক্কেলের। কিন্তু সিবিআই যখন দেখল ওনার জেলমুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হল, তখন তাঁকে জেলেই গ্রেপ্তার করল সিবিআই। কারণ স্পষ্ট যাতে উনি জেল থেকে বেরতে না পারেন।’ একইসঙ্গে কেজরিওয়ালের আইনজীবী বলেন, ‘উনি কোনও জঙ্গি নন, উনি মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিকে সিংভির ‘ইনসুরেন্স অ্যারেস্ট’ মন্তব্যের পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই ধরনের শব্দের কোনও আইনি অর্থ নেই। একটি তদন্তকারী সন্থা হিসেবে আমাদের অধিকার রয়েছে কাউকে গ্রেপ্তার করার ও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার। উনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওনারা ভূমিকা যথেষ্ট সন্দেহজনক। আবগারি নীতি আবগারি মন্ত্রীর হাত দিয়ে তৈরি হলেও তাতে ওনার যোগ ছিল সেই সূত্রেই ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তার করা হয়। এটিকে ‘ইনসুরেন্স অ্যারেস্ট’ বলা হচ্ছে। এই ধরনের মন্তব্য ঠিক নয়। ওনাকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। সবটা টাইপ করাও হয়েছে। কোন মামলার কীভাবে তদন্ত হবে তা কে ঠিক করবে? উনি ঠিক করবেন (সিংভি)?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.