Advertisement
Advertisement
Arvind Kejriwal

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল, জেলমুক্তির পরই বড় সিদ্ধান্ত

আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলমুক্তির পরই বড়সড় সিদ্ধান্ত আপ সুপ্রিমোর। দিল্লির জনসভা থেকে তাঁর ঘোষণা, ' দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।'  

Arvind Kejriwal announces shock resignation as Chief Minister After Bail

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 15, 2024 12:35 pm
  • Updated:September 15, 2024 2:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলমুক্তির পরই বড়সড় সিদ্ধান্ত আপ সুপ্রিমোর। দিল্লির জনসভা থেকে তাঁর ঘোষণা, “দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।”  

জেলমুক্তির পর রবিবার প্রথম জনসভা থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, “যতদিন না মানুষ আবার আমাকে নির্বাচিত করে আনছে ততদিন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। আমি প্রত্যেকটা মানুষের বাড়িতে যাব। রাস্তায় যাব। কিন্তু মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসব না।” কেজরির দাবি, আপকে ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁকে জেলে পাঠিয়েছিল বিজেপি। সভা থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ওরা ভেবেছিল আমাকে জেলে পাঠিয়ে আমাদের দল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা ওরা পারেনি। আমি সংবিধান বাঁচাতে চেয়েছিলাম, সেজন্যই জেল থেকে ইস্তফা দিইনি। সুপ্রিম কোর্টই প্রমাণ করে দিয়েছে জেল থেকেই সরকার চালানো যায়।” 

Advertisement

আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তার পর ৬ মাস জেল থেকেই সরকার চালিয়েছেন। তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন বারবার তাঁর ইস্তফা চেয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। বিজেপির সেই প্রবল চাপেও ইস্তফা দেননি আপ সুপ্রিমো। বরং অতিশি-সহ কয়েকজন মন্ত্রীকে দিয়ে জেলে বসেই সরকার চালিয়েছেন।

সেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় শেষমেশ জামিন পেয়েছেন তিনি। তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। এমনকী, সিবিআইকে ফের খাঁচাবন্দি তোতাপাখি কটাক্ষও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই সম্ভবত কেজরিওয়ালের মনে হয়েছে পরিস্থিতি তাঁর অনুকূলে। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে তাঁর পক্ষে সহানুভূতি তৈরি হবে। বস্তুত, আপের জন্মই হয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই আপেরই সুপ্রিমো দুর্নীতির দায়ে জেলে- বিজেপি এতদিন সেটাকে হাতিয়ার করেই করছিল। বিজেপির সেই অস্ত্র কেড়ে নিতেই সম্ভবত কেজরিওয়াল ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।  তাঁর দাবি, নভেম্বরেই দিল্লিতে ভোট করানো হোক। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement