সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের মানুষ ভারত সরকারের ‘অবৈধ শাসন’-এ খুশি নন। চিনের সরকার পরিচালিত সংবাদপত্র বুধবার এই দাবিতে সরব হল। দলাই লামার তাওয়াং সফরের বিরোধিতায় কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পর ফের বোমা ফাটাল বেজিং।
প্রথম থেকেই চিন দলাই লামার অরুণাচল প্রদেশ সফরের বিরোধিতা করে আসছে চিন। চিনের দাবি, তাওয়াং চিনেরই অংশ। ভারত অবৈধভাবে ওই এলাকা দখল করে রেখেছে। তাই কোনও ধর্মগুরু ওই এলাকায় সফরের আগে চিনা বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে। এবার সেই বিরোধিতার পথে হাঁটতে গিয়ে আর এক আজব দাবি করে বসল বেজিং। চিনা সংবাদপত্রের বক্তব্য, “ভারতের অবৈধ শাসনে দক্ষিণ তিব্বতের বাসিন্দাদের জীবন কষ্টে কাটছে। বহু বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার মানুষকে। তাঁরা চিনেই ফিরতে চান।”
#DalaiLama‘s visit to #ArunachalPradesh will negatively impact the settlement of territorial dispute with India: #China.
— Press Trust of India (@PTI_News) April 12, 2017
গত ২০ বছর ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ নিয়ে বিবাদ রয়েছে। অরুণাচলকে চিনের অংশ বলে দাবি জানিয়ে আসছে বেজিং। পাল্টা ভারত দাবি করেছে, ১৯৬২ থেকে ভারতের খানিকটা অংশ বরং চিন ‘আকসাই চিন’ বলে দখল করে রেখেছে। দ্বিপাক্ষিক এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই চিনের আর্থিক সাহায্যে পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে সিপিইসি বা চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর। ভারত ওই অর্থনৈতিক করিডরের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এতে ভারতের সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই নিয়ে দরবার করেছে ভারত। চিন আবার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, দলাই লামাকে অরুণাচলে মুক্তভাবে ঘুরতে দিলে কাশ্মীরে অশান্তিতে ইন্ধন দেবে বেজিং।
We will take further action to safeguard #China‘s sovereignty: foreign ministry on #DalaiLama‘s visit to #ArunachalPradesh.
— Press Trust of India (@PTI_News) April 12, 2017
দলাই লামার এটাই প্রথম ভারত সফর নয়। এর আগে ২০০৯-তেও অরুণাচল ঘুরে গিয়েছেন ওই বৌদ্ধ ধর্মগুরু। তখনও ওই সফরের বিরোধিতা করেছিল চিন। কিন্তু এবারের সফর নিয়ে কার্যত বাড়াবাড়ি করে ফেলছে চিন, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। অরুণাচলকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ঐতিহাসিক কিছু তথ্য-প্রমাণও পেশ করেছে চিনা সংবাদপত্রটি। তাদের বক্তব্য, ১৯০০ সালে ম্যাকমোহন লাইন চিনকে অরুণাচলের থেকে আলাদা করে। কিন্তু ভারতে সেটা ছিল ব্রিটিশ যুগ। ব্রিটিশদের বিদেশ সচিব হেনরি ম্যাকমোহনের সেই চুক্তি কখনই মেনে নেয়নি বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.