সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল এক বছর। ২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা (China) আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় সেনারা (Galwan Clash)। অতর্কিতে চালানো চিনের সেই কাপুরুষোচিত হামলায় শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। মঙ্গলবার সেই হামলার বর্ষপূর্তিতে শহিদ জওয়ানদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করল ভারতীয় সেনার ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস’। উল্লেখ্য, মূলত সিয়াচেন হিমবাহ ও কার্গিল-লেহ অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে এই বাহিনী।
এদিন মেজর জেনারেল আকাশ কৌশিক লেহ-তে ওয়ার মেমোরিয়ালের উপরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। সেনার তরফে পেশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশ চিরকাল এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় শহিদ জওয়ানদের লড়াই ও দেশের জন্য তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
এদিকে সংঘর্ষের একবছর পরেও পূর্ব লাদাখের সীমান্তে কড়া প্রহরায় রয়েছে ভারতীয় সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত বছর লাদাখে লালফৌজের অতর্কিতে হামলার পর থেকেই ওই সব অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। কেবল স্থলপথেই নয় আকাপথেও রয়েছে কড়া নজরদারি। রাফালে, মিগ-২৯ ও সু-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়মিত উত্তরাঞ্চলের ওই এলাকার সীমানায় আকাশপথে টহল দিচ্ছে। সবদিক থেকেই লালফৌজের পরবর্তী যে কোনও রকমের হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, গত সাড়ে চার দশকে ভারত ও চিনের মধ্যে সবথেকে বড় সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছিল গালওয়ান। প্রাথমিক ভাবে কেবলই ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। বেজিংয়ের কত জন সেনা নিহত হয়েছেন তা চেপে দেয় চিন। পরে অবশ্য তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয় সংঘর্ষে লালফৌজের জওয়ানদেরও মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলার পর থেকেই ভারত ও চিনের সম্পর্কে রাতারাতি অবনতি লক্ষ করা যায়। ভারতে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় বহু চিনা অ্যাপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.