সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ভারতের পূর্ণসময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে বসেছেন নির্মলা সীতারমণ। তারপরই মহিলাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘মিলিটারি পুলিশ’ বাহিনীতে ৮০০ মহিলাকর্মী নিয়োগ করা হবে। শুক্রবার এমনটাই জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
[মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জমানায় কি শত্রু নিধনে দেখা যাবে মহিলা জওয়ানদেরও?]
বেশ কয়েকদিন ধরেই সেনাবাহিনীতে ‘কমব্যাট রোল’-এ মহিলাদের নিয়োগ নিয়ে জল্পনা চলছে। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামবেন মহিলারা। এমনটাই দাবি ছিল ‘প্রমীলা’দের। মোদি জমানায় প্রথম সেনাবাহিনীর মহিলা জওয়ানদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একই কথা বলেছিলেন অরুণ জেটলিও। তারপরই প্রতিরক্ষা বিভাগের দায়ভার সামলেই মহিলাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন নির্মলা সীতারমণ। এই প্রেক্ষিতেই সেনার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, এই প্রথম সেনার ‘নন-অফিসার ক্যাডার’ হিসাবে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। তবে সরাসরি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করবেন না তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ করবেন তাঁরা।
সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অশ্বিনী কুমার জানান, মিলিটারি পুলিশ বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৮০০ জন মহিলাকর্মী নিয়োগ করা হবে। তারপর প্রতি বছর ৫২ জন করে মহিলাকর্মী নেওয়া হবে। সেনা সূত্রে খবর, ‘কমব্যাট রোল’এ মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মহিলাকর্মী। ১৯৯২ সালে প্রথমবার মেডিক্যাল বিভাগ ছাড়া সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসাবে মহিলাদের নিয়োগ করা হয়। তারপর থেকেই মহিলাদের ‘কমব্যাট রোল’এ নিয়োগের দাবি শুরু হয়।
[চিনকে ‘ঠান্ডা’ করতে জাপানের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক সমঝোতা ভারতের]
প্রসঙ্গত, কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিমান উড়াতে চলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটরা। চলতি মাসের শেষের দিকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে বাযুসেনা সূত্রে খবর। তবে স্থলসেনার ট্যাঙ্ক ইউনিটের মতোই নৌসেনার সাবমেরিন ও রণতরীতে এখনও মহিলাদের মোতায়েন করা হয় না। এখন ভারতীর সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত মহিলারা চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, সিগন্যালিং ইনস্ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু, সরাসরি যুদ্ধে মহিলা জওয়ানদের কোনও ভুমিকা থাকে না। তবে গত কয়েক দশকে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। পুরুষতান্ত্রিক খোলস ছেড়ে মহিলা জওয়ানদেরও যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির মতো প্রথম বিশ্বের অনেকই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.