সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেফটেন্যান্ট উমর ফৈয়াজের মৃত্যুর পর থেকেই নাকি ক্ষোভে ফুঁসছে সেনা৷ উপত্যকায় চালানো হচ্ছে কাসো অর্থাৎ এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান৷ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের প্রায় ৪০০০ জওয়ান মিলে এমনই তল্লাশি চালিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের ১৫টি গ্রামে৷ কোনও সত্যতা নেই এই খবরে৷ এমন কোনও সার্চ অপারেশন চালানো হয়নি৷ এক সর্বভারতীয় সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই কথা জানিয়ে দেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত৷
[বিশ্ব আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য, কুলভূষণের ফাঁসি রুখতে নারাজ পাকিস্তান]
রাওয়াত বলেন, ‘কাশ্মীরের সমস্ত বাসিন্দা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই মনে করে সেনা৷ সেনার কাজ হল কাশ্মীরিদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের আলাদা করে ওদের নিকেশ করা। আমরা এটা বুঝি যে এই জেহাদ নামক বস্তুর সঙ্গে উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষই জড়িত নন৷ অল্প কিছু মানুষ এর নেপথ্যে রয়েছে৷ জঙ্গিদের থেকে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিচ্ছিন্ন করাটাই আমাদের কাজ৷’
প্রসঙ্গত, ১৫ বছর আগেই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান ওরফে কাসো তুলে নিয়েছিল সেনা৷ কারণ মনে করা হচ্ছিল, এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে৷ এদিন ফের কাসো চালুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রাওয়াত বলেন, আমরা কাশ্মীরে কাসো প্রক্রিয়ায় ফিরছি না৷ কারণ আমরা জানি তা সাধারণ মানুষের পক্ষে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়৷ যেটা করা হয়েছে তা হল এলাকা ভিত্তিক তল্লাশি অভিযান৷ কাউকে ঘেরাও করার কোনও প্রশ্নই নেই৷
[প্রধানমন্ত্রীকে ৫৬ ইঞ্চির অন্তর্বাস পাঠিয়ে প্রতিবাদ জওয়ানের স্ত্রীর]
তরুণ লেফটেন্যান্ট উমর ফৈয়াজকে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র সমালোচনা করেন রাওয়াত৷ উমরের মতো অফিসার কাশ্মীরি যুবকদের অনুপ্রেরণা ছিলেন৷ এর জন্য সারা দেশ তাঁর জন্য গর্বিত বলে জানান তিনি৷ উপত্যকার কিছু মানুষ ভ্রান্ত ধারণার শিকার৷ উমরের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর এদের মধ্যে অনেকেরই চোখ খুলবে বলে আশা করছেন সেনা প্রধান৷
[পাগলাগারদে পাঠানো উচিত সোনুকে, মত রাখি সাওয়ান্তের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.