সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির সেনা হাসপাতালে আত্মঘাতী হলেন করোনা আক্রান্ত জওয়ান। মঙ্গলবার ভোরে পশ্চিম দিল্লির নরইনার সেনাবাহিনীর বেস হাসপাতালে একটি গাছ থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। ৩১ বছর বয়সি ওই জওয়ানের দেহে সম্প্রতি করোনার সন্ধান মিলেছিল।
আত্মঘাতী ওই জওয়ান মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাঁর পোস্টিং ছিল রাজস্থানে। ফুসফুসে ক্যানসার ছিল তাঁর। ধৌলা কুয়ানে ভারতীয় সেনার রিসার্চ অ্যান্ড রেরাল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তখনই লালারস পরীক্ষায় জওয়ানের শরীরে করোনার জীবাণু মেলে। এর পরেই ৫ মে তাঁকে নরাইনার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পশ্চিম) দীপক পুরোহিত জানিয়য়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের পিছনের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল হাসপাতালে। তাঁকে তখন শৌচালয়ের দিকে যেতে দেখেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। এরপর মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়।
যদিও তাঁর কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশের অনুমান, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ঘটনাটিকে “দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও জানান, জওয়ানের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে। মৃতের পরিবারকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের উপস্থিতির পরই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানান দীপক পুরোহিত।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে শ্রীনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। নাম ফতেহ সিং। তিনি ৯৬ ব্যাটেলিয়নের সাব-ইনস্পেক্টর ছিলেন। তাঁর বাড়ি রাজস্থানের জয়সলমীরে। সোমবার মাঝরাতে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তাঁর দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানেই করোনা আতঙ্কের কথা লেখা ছিল। জিজ্ঞিসাবাদের পর জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি করোনা আতঙ্কে ভুগছিলেন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছিলেন তাঁর দেহ যেন না ছোঁয়া হয়। তাহলে সংক্রমণ ছড়াবে। যদিও ওই জওয়ানের করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া এদিন আত্মহত্যা করেন সিআরপিএফের ৪৯ ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরও। তবে তাঁর আত্মহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.