সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী সন্ধ্যা সিংয়ের মৃত্যুর প্রায় দু’সপ্তাহ পর স্বামী সেনা অফিসার বিশাল বৈভবকে আটক করল পুলিশ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে বিশাল ও তাঁর পরিবার পণের জন্য সন্ধ্যার উপর অত্যাচার চালাত। আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সন্ধ্যা। স্ত্রী-র মৃত্যুর পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিশাল। ভর্তি ছিলেন স্থানীয় সেনা হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত বুধবার তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সেনা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করে পুলিশ। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন বিশাল।
গত ১৮ এপ্রিল বোলারামের আরএসআই ক্লাব সংলগ্ন আবাসনের ঘর থেকে সন্ধ্যার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে, আত্মহত্যার মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু পরে সন্ধ্যার বোন উমা অভিযোগ জানান, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য অত্যাচার চালানো হত সন্ধ্যার উপর। এরপরেই মামলায় যুক্ত করা হয় বিশালের নাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে কোনও সুইসাইড নোট না পেলেও, পরে সন্ধ্যার উপর বিশাল ও তাঁর পরিবারের লোকজনের অত্যাচারের একাধিক প্রমাণ পান পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে, স্ত্রী-র মৃত্যুর পর থেকেই বুকে ব্যথার কথা জানিয়ে সেনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিশাল। কিন্তু ওখানে গিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করার নিয়ম ছিল না। তবে শেষপর্যন্ত এদিন আটক করা সম্ভব হয় সেকেন্দ্রাবাদে সেনাবাহিনীর ৫৪তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে কর্মরত মেজর বিশাল বৈভবকে।
বিশালকে আটক করলেও তাঁর মা আশা সিং এবং বোন খুশির খোঁজে চলছে তল্লাশি। প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি এফএম চ্যানেলের রেডিও জকি ছিলেন আত্মঘাতী সন্ধ্যা সিং। তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ছিলেন। বছর দেড়েক আগে মেজর বিশাল বৈভবকে পছন্দ করে বিয়ে করেন সন্ধ্যা। হায়দরাবাদের বোলারামে স্বামীর সঙ্গে কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। তবে বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে হেনস্তা করত স্বামী। তাই শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সন্ধ্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.