সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর দিল্লির সবথেকে বড় কোয়েরেন্টাইন সেন্টার নারেলার (Narela quarantine centre) দায়িত্ব নিলেন সেনা চিকিৎসকেরা। ৪০ জন সেনা চিকিৎসকের (Army Doctor) একটি দল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় পরিষেবা দিচ্ছেন সেই সেন্টারে। এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি দেশের মধ্যেও সবথেকে বৃহৎ।
জানা গিয়েছে, ৪০ জনের দলে ৬ জন মেডিক্যাল অফিসার আর ১৮ জন প্যারামেডিক কর্মী আছেন। সেই সেন্টারে যারা আইসোলেটেড, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জন দিল্লির নিজামুদ্দিন জমায়েতের সন্দেহভাজন। এদের পাশাপাশি ৩৬৭ জন সংক্রমিতের চিকিৎসা চলছে এই নারেলায়। এই সেন্টারের পরিষেবা আরও উন্নত করতে দিল্লি সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার থেকে ১২ ঘণ্টার শিফটে কাজ শুরু করেছেন সেনা-চিকিৎসকরা। মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশ্রামের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ। রবিবার সেনার একটি সূত্র মারফত জানা যায়, রাতেও যাতে চিকিৎসার সঠিক পরিষেবা স্বাস্থ্যকর্মীরা দিতে পারেন, তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।
সরকারিভাবে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের মিত্র রাষ্ট্র থেকে আগত বিদেশী নাগরিকদের এই সেন্টারে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মোট ২৫০ জন এমন নাগরিক রয়েছেন। পাশাপাশি পরিকাঠামো বাড়িয়ে নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আরও হাজার জনকে আইসোলেটেড করা হয়েছে মানেসার সেন্টারে। তবে সেনা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনায় খুশি হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীরা। সেনা চিকিৎসকদের ইতিবাচক চিন্তাধারায় মুগ্ধ সকলে। এই প্রচন্ড কঠিন সময়ে এক হয়ে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। দেশের মানুষকে সুবিধা দিতে সেনা চিকিৎসকরা একমনে কাজ করে চলেছেন, বলে জানান হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.