কিন্তু কেন?
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৩০ বছরে একটিও সিনেমা দেখেননি দেশের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। শুধু সিনেমাই বা বলা যায় কী করে। গত তিরিশ বছরে টানা তিনঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকার ফুরসতও মেলেনি তাঁর। স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার মূলক অনুষ্ঠানে এসে একথাই বললেন সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পড়ুয়াদের আলোচনা পর্বে উঠে আসে বেশ কিছু বিষয়। তারমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর যেমন রয়েছে, তেমন ছত্তিশগড়ের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। পড়ুয়াদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। রায়পুরের দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া সিরম কাশ্যপ বাধা গতের বাইরে গিয়ে সেনাপ্রধানের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। দেশাত্মবোধক হিন্দি সিনেমা সম্পর্কে সেনাপ্রধানের কী মতামত, জানতে চেয়েছিল ওই পড়ুয়া তার উত্তরেই একথা বলেন তিনি। পাশাপাশি এও জানান যে কঠোর পরিশ্রম করলে সাফল্য এমনিতেই ধরা দেবে। একবার ব্যর্থ হলে থেমে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। সে স্কুল বা চাকরি, জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রই হোক না কেন। পরের বার কঠোর মনোযোগের সঙ্গে চেষ্টা হলে ইপ্সীত লক্ষ্যে পৌঁছানোটা কোনও ব্যাপারই না। কারণ ব্যর্থতার মধ্যে সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে। এটি প্রায় সকলেরই জানা। তাই কখনওই হতাশ হওয়া উচিত নয়। তাঁর আশা, দেশের বেশিরভাগ পড়ুয়াই ভালবেসে সেনা বাহিনীতে যোগ দেবে।
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে রায়পুরের ওই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক সুমন বাহিদর জানান, ১৭ জন ছাত্র ও তিন ছাত্রী ভবিষ্যতে সেনায় যোগ দিতে চায়। এদের বয়স যথাক্রমে ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এই ২০ জন সপ্তম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যেই পড়ে। তাদের এই দেশভক্তি দেখেই স্কুলের তরফে সেনাবাহিনীর কার্যবিবরণী সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের সেনাদের বাস্তব জীবন আসলে কেমন তা পড়ুয়াদের দেখাতে চান। সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা পর্ব তারই শুরুয়াত বলা যেতে পারে। এরপর দেশের সেনা অ্যাকাডেমিতে কী ধরনের কাজকর্ম হয় তা দেখাতে পড়ুয়াদের দেরাদুনও নিয়ে যাওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.