সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাতের আবহে লাদাখ সীমান্তে চিনের উপর নজর রাখছে ইজরায়েল থেকে আনা হেরন ড্রোন। ১০ কিলোমিটার উপর থেকেই লালফৌজের গতিবিধির খবর ভারতীয় শিবিরে পৌঁছে দিচ্ছে এই চালকবিহীন যানটি। কিন্তু এবার শুধু রেকি নয়, হামলার জন্য এই ড্রোনটিকে সুসজ্জিত করার উদ্দেশ্যে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে ভারতীয় সেনা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তিন বাহিনীর হাতে থাকা মোট ৯০টি ড্রোনকে অস্ত্রসজ্জিত করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় ফৌজের। এইসমস্ত ড্রোনে থাকবে শূন্য থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, লেজার গাইডেড বম্ব। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট চিতা’। এতে খরচ হবে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাই পাওয়ার্ড কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় শর্মা। তিন বাহিনীর জন্য হত্যার কেনার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। সেনা সূত্রে খবর, ভবিষ্যতে এধরনের ড্রোন জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, আগ্রাসী চিনকে রুখে দিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যোগ হচ্ছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী আরও চারটি পি-৮আই বিমান (P-8I)। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী বছরই ভারতের হাতে আসবে চারটি পি-৮আই বিমান ( P-8I Neptune)। এছাড়া, ২০২১ সালে এমন আরও ছ’টি বিমান কিনতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। পি-৮আই বিমানগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার। বিমানগুলিতে রয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হালকা ওজনের টর্পেডো ও ডেপথ চার্জ (সাবমেরিন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়)। শক্তিশালী রেডিও সিগনালের মাধ্যমে যা কিনা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ, দুই-ই ধ্বংস করতে সক্ষম। সব মিলয়ে আকাশে, জমিতে ও সাগরে লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে প্রস্তুতি দ্রুত সেরে ফেলছে ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.