সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি ইস্যুতে বিজেপির সুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar)। যার পর এনসিপি সুপ্রিমোকে ‘লোভী’ বলে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস (Congress)। এবার মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করলেন এনসিপি (NCP) নেতা। তাঁর মতে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, সেখানে ছোট বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করে তোলা হচ্ছে। কার্যত আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্রের নেতা উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সমালোচনা করলেন পওয়ার।
বেশ কিছুদিন ধরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা। ক’দিন আগেই মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে অস্বস্তিতে পড়েন কেজরি। মোটা অঙ্কের জরিমানা হয় তাঁর। যদিও এরপরও ওই ইস্যু থেকে সরে আসেননি আপ শীর্ষনেতা ও তাঁর দল। গত শনিবার কেজরি টুইট করেন, “চাই না, কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোক।” মাঝে একই বিষয়ে নাম না করে মোদিকে কটাক্ষ করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, “কোন কলেজ চায় না এটা প্রকাশ্যে আসুক, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই কলেজে পড়েছেন।” এমনটা বলার কারণ, জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিলেও তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি ওই বিশ্ববিদ্যালয়। এর অর্থ ‘ডাল মে কালা’র উপস্থিতি রয়েছে, মনে করছেন মোদি বিরোধীরা। এই বিষয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন দেশের অন্যতম প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা।
এক প্রশ্নত্তর পর্বে রবিবার এনসিপি সুপ্রিমো মন্তব্য করেন, বেকারি, আইনশৃঙ্খলা, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন। গুরুত্বহীন বিষয়কে ইস্যু করে তোলা উচিত নয়। এনসিপি নেতা বলেন, “এখন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কী তোমার ডিগ্রি? কী আমার ডিগ্রি? এগুলি কি রাজনৈতিক ইস্যু?” পওয়ারের পরামর্শ, “বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করুন…। ধর্ম, বর্ণের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা দরকার।”
প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে বিজেপির সুরে পওয়ার মন্তব্য করেছিলেন, “আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গের রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।” কংগ্রেসের জেপিসি চাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়।” আরও বলেন, “আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক’জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.