Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্দুক হাতে নিলে খতম করা হবে, কড়া বার্তা সেনার

পুলওয়ামা হামলার নেপথ্যে আইএসআই, দাবি সেনার।

Army warns terrorists after Pulwama attack
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 19, 2019 11:53 am
  • Updated:February 19, 2019 11:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পুলওয়ামা হামলার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কাশ্মীরে থাকা জইশ নেতৃত্বকে খতম করা হয়েছে। আজ সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেন চিনার কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়াল জিৎ সিং ধিঁলো। পাশাপাশি এই হামলার পেছনে সরাসরি পাকিস্তানের সেনার মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ জানান। আইএসএই এবং জইশ-ই-মহম্মদকে পাকিস্তান সেনার শাখা বলেও কটাক্ষ করেন এই সেনা আধিকারিক।

তিনি বলেন, “পুলওয়ামা হামলার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ দ্বারা পরিচালিত কাশ্মীরের জইশ নেতৃত্বকে আমরা খতম করেছি। গতকাল কামরান-সহ তাদের ৩ শীর্ষ নেতাকে মেরেছি। তবে গতকালের সংঘর্ষে সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হয়নি। পুলওয়ামার এই হামলার সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাদের বলছি সময় থাকতে থাকতে আত্মসমপর্ণ করতে। না হলে সবাইকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। কাশ্মীরের ইতিহাস বদলানোর জন্য সেখানকার মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ সন্তানদের সাবধান করুন। তাদের সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। যারা ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে তাদের আত্মসমপর্ণ করতে বলুন। তা না করে তারা যদি হাতে বন্দুক তুলে নেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নিকেশ করা হবে। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম রোখার বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার। কাশ্মীর উপত্যকায় যে এই ধরনের কাজের জন্য প্রবেশ করবে তাকে বেঁচে ফিরতে দেওয়া হবে না।”

Advertisement

[‘আলোচনার দিন শেষ, এখন অ্যাকশনের সময়’, কড়া হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর]

স্বাধীনতার পর দেশের মাটিতে হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পেছনে যে পাকিস্তানের হাতই রয়েছে তাও আজ স্পষ্ট করে জানানো হয়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কাশ্মীরের উপত্যকার মাটিতে আর কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যে কোন রকম হিংসার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[ভারতীয় সেনার বড়সড় সাফল্য, নিকেশ পুলওয়ামার মূল চক্রী কামরান]

গত বৃহস্পতিবার জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। শহিদ হন ৪৯ জন জওয়ান। এরপরই গোটা দেশ জুড়ে বদলা চাই বলে স্লোগান ওঠে। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলা একটি ঘৃণিত ঘটনা। আমি তীব্রভাবে এই কাপুরুষোচিত ঘটনার নিন্দা করছি। আমাদের বীর জওয়ানদের আত্মবলিদান কখনই ব্যর্থ হবে না। গোটা দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শহিদদের পরিবারের পাশে আছে।’

[পুলওয়ামায় রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, মেজর-সহ শহিদ ৪ জওয়ান]

এরপর থেকে গত কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী টুইট করার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েও পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ঘটনার পরের দিনই বলেন, দেশের সেনার উপর হামলা চালিয়ে ভুল করেছে এর পিছনে থাকা ব্যক্তিরা। কাউকে রেয়াত করা হবে না। পাকিস্তানের থেকে মোস্ট ফেভারড নেশনের তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সেখান থেকে এদেশে বিক্রির জন্য আনা পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি চাপিয়ে দেয়। কাশ্মীরের বিছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন নিরাপত্তা রক্ষীদেরও তুলে নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির কাছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার দাবিও তোলে।

[‘আগুন জ্বলছে আমার বুকে’, পুলওয়ামা নিয়ে মন্তব্য মোদির]

ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছে আমেরিকা-সহ ৪০টি দেশও। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতেও বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আত্মরক্ষার্থে ভারতের প্রত্যাঘাত করার অধিকার আছে বলেও সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়েছে। আর আজ সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বৈঠকে থেকে প্রত্যাঘাত দেওয়ার কথা স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement