সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আগে বরফ নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। তাঁদের বরফ খেলার ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে গিয়ে পিকনিক করছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। অথচ কাশ্মীরে অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই লালচকে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল তাঁদের।
সোমবার ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেন ভাই-বোনের জুটি। বরফ নিয়ে তাঁদের খুনসুটির মিষ্টি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা ও নিরাপত্তাকর্মীরাও। এই ঘটনার পরেই মুখ খোলেন অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা বরফের বল বানিয়ে খেলছিলেন। তাঁদের দেখে মনে হল পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো উচিত ছিল, কিন্তু তাঁরা ভুলে গিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। সেই জন্যই নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারছেন রাহুল।
১৯৯২ সালে একতা যাত্রার শেষে সাধারণতন্ত্র দিবসে লালচকে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। সেই ঘটনা মনে করিয়ে অনুরাগ বলেছেন, “বোমা আর বন্দুকের মাঝে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। তখন বরফ নিয়ে খেলার মতো পরিস্থিতিই ছিল না। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই আজ কাশ্মীর স্বাভাবিক। এই ধারা চালু করেছিল কংগ্রেসই।” এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাহুল গান্ধীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, কাশ্মীরে ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে?
কাশ্মীরে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বলেছেন অনুরাগ। ২০১১ সালে কাশ্মীরে তিরঙ্গা যাত্রা করতে গিয়ে তাঁকে জেলে বন্দি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে যদি পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে, তাহলে অনুরাগ ঠাকুরের এই কাজ করাই উচিত নয়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর মতে, রবিবার লালচকে রাহুল গান্ধীর পতাকা তোলা নিয়ে কোনও সমস্যাই হয়নি। সেই জন্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য প্রধানমন্ত্রীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.