Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mondal

জামিন পেলেন অনুব্রত, পুজোর আগেই বীরভূমে ফিরছেন কেষ্ট

গরু পাচার মামলায় ২০২২ সাল থেকে তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন মিলেছিল তাঁর। শনিবার জেলমুক্তির সম্ভাবনা অনুব্রতর।

Anubrata Mondal gets bail in ED case, likely to get out of jail recently

২ বছর ১ মাস পর জামিন অনুব্রতর। ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 20, 2024 5:19 pm
  • Updated:September 20, 2024 7:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আগেই সুসংবাদ। সিবিআইয়ের পর এবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal)। শুক্রবার বিকেলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গরু পাচার মামলায় বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তিহাড় জেল থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেন শনিবার। পুজোর আগেই বীরভূমে ফিরবেন কেষ্ট। এই খবরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বোলপুরের তৃণমূল শিবির। জেলা নেতৃত্বের অনুমান, বীরভূমে অনুব্রত ফিরলে  ফের জেলা সভাপতি হিসেবে দলের কাজ করবেন। তাঁর জেলযাত্রার ২ বছর কেটে গেলেও ওই পদে কাউকে বসাননি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার বলেছেন, অন্যায়ভাবে অনুব্রতকে জেলবন্দি করা হয়েছে।  তাঁর মুক্তি আসন্ন।

চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভোটে যাতে কাজ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই কেষ্টর জামিন খারিজ হচ্ছে। ভোট মিটলেই জামিন পেয়ে যাবে। জেলের বাইরে বেরতে পারবে। সামান্য দেরিতে হলেও তাঁর কথাই মিলে গেল। ভোট মিটে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে, পুজোর আগে সিবিআই এবং ইডি – দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলাতেই জামিন মিলল। শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ১০ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করলেন বিচারক। শনিবার তাঁর জেলমুক্তির সম্ভাবনা।  

Advertisement

২০২২ সালের অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। যদিও তখন থেকেই সিবিআই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া চালাতে চাইছিল। পরে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় ইডির হাতেও গ্রেপ্তার হন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। তার পর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তিহাড় জেলে বন্দি করা হয়। একই মামলায় দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকেও। তিনিও এতদিন তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। চলতি মাসের ১০ তারিখ দিল্লি হাই কোর্টে সুকন্যারও জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এবার ২ বছর ৯ দিন পর তাঁর বাবাও জামিন পেলেন। সবমিলিয়ে ফের নতুন করে অক্সিজেন নিয়ে চাঙ্গা হচ্ছে বীরভূমের শাসক শিবির।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement