ফাইল ফটো
গৌতম ব্রহ্ম: কাজ যদি হয়, তাহলে আধিক্যে দোষ কী? বিশেষত যদি তা সময় ও অর্থ, দুয়েরই সাশ্রয় করে! করোনা অতিমারীর সংকটকালে এই সহজ যুক্তির পথ নিয়েছে আইসিএমআর (ICMR)। যে কারণে আরটিপিসিআর (RT-PCR) বহাল রেখেও ‘সস্তার’ অ্যান্টিজেন টেস্টকেই কোভিড নির্ণয়ের মূল হাতিয়ার করতে বলল তাঁরা। দক্ষিণ কোরিয়ার এই অ্যান্টিজেন কিটটির সবচেয়ে বড় উপযোগিতা, ফলাফল জানা যায়, মাত্র ৩০ মিনিটে। কোনও মেশিনও লাগবে না। নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি খোলা চোখেই ধরা পড়ে যাবে। প্রেগন্যান্সি নির্ণয়ের কিটের মতো দেখতে। লালাকে ‘ডাইলিউট’ করে কিটে দিলেই ফল মিলবে। দামও বিলকুল সস্তা। মাত্র ৪৫০ টাকা।
আইসিএমআর এবং দিল্লির এইমস আলাদা করে এই অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতার পরীক্ষা নেয়। আইসিএমআর সূত্রের খবর, পাসমার্ক পাওয়ার পরে দেশজুড়ে তা ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু কিট ব্যবহার করতে গেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা ল্যাবকে আইসিএমআরে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সরকারি হাসপাতাল, ‘এনএবিএইচ’ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও ‘এনএবিএল’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির প্রতি দেশের চিকিৎসা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাটির পরামর্শ, দ্রুত কোভিড নির্ণয়ের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘এসডি বায়োসেনসর’-এর তৈরি অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করা হোক। আইসিএমআর এই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে।
করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর-কেই এখন গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। কিন্তু এই পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ। ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রুন্যাট বা সিবিন্যাটের ক্ষেত্রে সময় কম লাগলেও দরকার দামি যন্ত্র। অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষেত্রে সমস্যা অন্যত্র। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য সময় দিতে হবে। তার আগে করলে ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা। এবার সেই জায়গাতেই অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিল আইসিএমআর। ভাইরোলজিস্ট ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, হাসপাতালে লক্ষণযুক্ত রোগী ও কো-মরবিডিটিযুক্ত লক্ষণহীনদের জন্য এই কিট কার্যকর হবে। নেগেটিভ এলে আরটিপিসিআরে টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে। পজিটিভ এলে অবশ্য রিপোর্ট সঠিক বলেই ধরে নিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.