সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপি-বিজেপি জোট ভাঙার পর অনেকেই মনে করছেন এবার অবাধে সেনা অভিযান হবে উপত্যকায়। এতদিন স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকেন সেনা কর্মীদের একাংশ। এমনকি একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দমনে পদক্ষেপ করা সেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলাও দায়ের করেছে পুলিস। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনার অন্তর্দ্বন্দ্বের এই ছবি নিঃসন্দেহে সেনা অভিযানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। বিজেপি পিডিপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পরই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছিলেন এবার উপত্যকায় সেনা অভিযান আরও সহজতর হবে। এদিন ঘুরিয়ে সেকথাই বললেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপাল শাসন জারি হওয়ায় সেনা অভিযানে কোনও অসুবিধা হবে না।
গতকাল মুফতি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। জল্পনা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। এরপর উপত্যকায় সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় জল্পনা। শোনা যায়, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে ‘অপারেশন অল আউট’ নামবে সেনা। এদিন সেনাপ্রধান অবশ্য তেমন কোনও ইঙ্গিত দেননি। তিনি বলেন, সেনা অভিযান যেমন চলছিল তেমনি চলবে। রাজ্যপালের শাসন জারি হওয়ায় আর কোনও অসুবিধা রইল না।
শান্তি ফেরাতে রমজান মাসে সেনা অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সংঘর্ষবিরতি চলাকালীন চরম অশান্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। প্রতিনিয়তই হামলা শিকার হতে থাকেন সেনাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেনা ক্যাম্পগুলিকে টার্গেট করছে পাথরবাজরা। এই পরিস্থিতি এড়াতে ফের দ্রুত সেনা অভিযান চালু করার পক্ষেই মত দিয়েছেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, ‘রমজানে অভিযান বন্ধ রেখে আমরা দেখেছি পরিস্থিতি কী হয়েছিল। আমরা খুব শীঘ্রই আবার অভিযান শুরু করব। আমাদের কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের শিকার হতে হবে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.