Advertisement
Advertisement
সন্ত্রাস

সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের অভিযোগ, বারামুলার ৪ টি জায়গায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি এনআইএ-এর

ব্যবসার নামে পাকিস্তান থেকে টাকা ঢোকানো হচ্ছে!

Anti-Terror Agency Raids 4 Places In J&K Over Terror Funding.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 28, 2019 12:08 pm
  • Updated:July 28, 2019 2:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ জোগানোর অভিযোগ ছিল। তার ভিত্তিতে রবিবার সকাল থেকে উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার চারটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বাড়িতে
বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার একই অভিযোগে সোপুরের কেরাঙ্কশিভান এলাকার ব্যবসায়ী সানাউল্লা ভাটের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। সেখান থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে
আজকের এই অভিযান বলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন-কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করবে জেডিএস? জল্পনা উসকে দিলেন বিধায়ক]

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে পাওয়ার পরেই প্রথম কাশ্মীরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সন্ত্রাসবাদীদের পাশাপাশি তাদের মদতদাতা ও অর্থের জোগানদারদের দ্রুত খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই
একের পর এক সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করেছেন জওয়ানরা। গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের মদতদাতা, অর্থের জোগানদাররাও। এর মাঝেই সংসদ বিল পাশ করিয়ে এনআইএ-কে দেওয়া হয় আরও বেশি ক্ষমতা। এর ফলে সীমান্তের ওপার
থেকে ব্যবসার নামে যারা সন্ত্রাসে অর্থ জোগাচ্ছে, আর এপারে জম্মু ও কাশ্মীরে বসে যারা সেই কাজে সাহায্য করেছে, তাদের চিহ্নিত করতে ও আটক করে জেরা করতে সুবিধা হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটির। গত মাসে এই
বিষয়ে জেরা করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারাত আলমকে জম্মু ও কাশ্মীরের জেল থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল তারা। তাকে জেরা করে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

Advertisement

মাসারাত আর অন্য দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আসিয়া আনদ্রাবি ও সাবির শাহ হাফিজ সইদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দেওয়া ও অর্থ জোগানোর অভিযোগে ২০১৮ সালে একটি মামলা করে এনআইএ। সেই মামলার চার্জশিটে লস্কর-ই তইবা প্রধান হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সইদ সালাউদ্দিন-সহ কাশ্মীরের ১০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারও নাম আছে। তার ভিত্তিতেই জেলবন্দি মাসারাত।

[আরও পড়ুন- পড়তে গিয়েও শান্তি নেই, স্কুল চত্বরে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্যে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ছাত্রীরা]

দিল্লিতে তাকে জেরা করার পরেই কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে এনআইএ। গত সপ্তাহে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের সাতটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে সীমান্তের ওপারে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের জেরা করা হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর-সহ গোটা দেশে হামলা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোল(এলওসি) ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানভীর ওয়ানির পুলওয়ামার অফিসে তল্লাশি করেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এনআইএ, আধাসামরিক বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েকটি দল প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে। সম্প্রতি এনআইএ-র তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ক্যালিফোর্নিয়া অ্যালমন্ড বিক্রির আড়ালে প্রচুর টাকা ভারতে ঢুকছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। কেউ কেউ সেই টাকা সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement