সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে জেহাদের জাল বিস্তার করছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)! সেই শিকর উপড়ে ফেলতে ফের দেশের চার রাজ্যের ১৯টি জায়গায় হানা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সোমবার সকাল থেকে চার রাজ্যের ১৯টি জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেগুলোর মধ্যে ১১টিই কর্নাটকে। চারটি রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। তিনটি রয়েছে মহারাষ্ট্রে এবং একটি দিল্লিতে। তল্লাশি চালিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কর্নাটকের বল্লারিতে আইএস মডিউল ফাঁস করে আইইডি বিস্ফোরণের চক্রান্ত বানচাল করা গিয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্য যেমন সালফার, পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং গানপাউডার, প্রস্তাবিত হামলার বিবরণ-সহ অস্ত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা জানিয়েছে। এনআইএ ছুরি, নগদ টাকা এবং ডিজিটাল ডিভাইসও উদ্ধার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বল্লারি মডিউলের নেতা মিনাজ, যে মহম্মদ সুলেমান নামেও পরিচিত। আইএম অ্যাপের মাধ্যমে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। কলেজ ছাত্রদের কট্টর মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ করে দলে শামিল করার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
এনআইএ-র (NIA) তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বিদেশে বসে থাকা ‘হ্যান্ডলার’দের মদতে এ দেশে নানা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত। গত সপ্তাহেই সন্ত্রাসদমন অভিযানে মহারাষ্ট্রের ৪০টি জায়গায় হানা দিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। ধৃতদের মধ্যে এক জন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করে এনআইএ। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাতে প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে।
বলে রাখা ভালো, চলতি মাসেই কয়েকদিন মুম্বই ও কর্নাটকের মোট ৪১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। আইএসের সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ১৫জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। সেসময়ও তদন্তকারীরা জঙ্গিদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ছক বানচাল করে দিয়েছিলেন। মূলত, ইসলামিক স্টেট সমর্থকদের ডেরাতেই এই তল্লাশি অভিযান হয়। সূত্রের খবর ছিল, ভারতে হামলা চালানোর ছক কষছে ইসলামিক স্টেট। মুম্বইয়ের মতো একাধিক শহরে সক্রিয় হয়েছে জেহাদিদের স্লিপার সেলগুলো। চলতি বছরের শুরুতে এনিয়ে একটি মামলাও করে এনআইএ। সেই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে এদিনও অভিযান শুরু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.