সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক-দেড় বছরে ভারতীয় রেল আর দুর্ঘটনা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। করমণ্ডল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, দেশের প্রথম সারির একগুচ্ছ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এবার সেই দুর্ঘটনায় রাশ টানার উদ্যোগে গতি আনছে রেল। রেলের দুর্ঘটনারোধী ‘কবচ’ অর্থাৎ সেন্সর ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা সম্পন্ন করা হল।
বুধবার ‘কবচে’র চতুর্থ সংস্করণের ৭ দফার পরীক্ষা করা হয়েছে সফলভাবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে একটি কবচযুক্ত ইঞ্জিনে সফর করে পুরো পদ্ধতি ক্ষতিয়ে দেখেছেন। রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাত দফার অগ্নিপরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে কবচ ৪.০। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম দফায় দেশের ১০ হাজার রেল ইঞ্জিন এবং ৯ হাজার কিলোমিটার রেলপথকে কবচের আওতায় আনা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা দেশের সব রেলপথকে এর আওতায় আনা হবে।
৭ দফার অগ্নিপরীক্ষায় পাশ কবচ
১। দ্রুতগতিতে যাত্রা করার সময়ও চালকের হস্তক্ষেপ ছাড়া রেড সিগন্যাল থেকে ৫০ মিটার দূরে ট্রেন থামাতে সমর্থ কবচ।
২। বিপদসঙ্কুল এলাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গতি কমাতে সমর্থ কবচ। ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলা ট্রেনকে বিপদসঙ্কুল এলাকায় ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামিয়ে আনে কবচ। বিপদসঙ্কুল এলাকা কাটলে সেটিকে ফের ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে চালানোর ব্যবস্থাও করেছে কবচ।
৩। লুপ লাইনে কবচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গতি কমিয়ে এনেছে ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টার নিরাপদ সীমায়।
৪। স্টেশন মাস্টারের পাঠানো বিপদ বার্তা পেয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামাতে সফল কবচ।
৫। লেভেল ক্রসিংয়ে চালকের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হর্ন বাজাতে সফল এই সুরক্ষা সিস্টেম।
৬। ক্যাব সিগন্যালিং সিস্টেম সফলভাবে পরীক্ষিত। পরের সিগন্যাল সম্পর্কে চালকের কেবিনে নিয়মিত বার্তা দিয়েছে কবচ।
৭। চালক ইচ্ছাকৃতভাবে রেড হোম সিগন্যাল ভেঙে ট্রেন এগোনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কবচ ট্রেন থামিয়ে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.