সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাব ডেস্ক: বিরোধীদের ধরনাকে পাত্তা দিতে নারাজ কেন্দ্র! সাসপেন্ড রাজ্যসভার আরও তিন সাংসদ। তালিকায় রয়েছেন, আপ সাংসদ সন্দীপকুমার পাঠক, সুশীলকুমার গুপ্তা এবং নির্দল সাংসদ অজিতকুমার ভুঁইঞা। বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়ার মোট সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। তাঁদের মধ্যে ৪ জন লোকসভার সাংসদ। বাকিরা রাজ্যসভার সদস্য। অধিবেশন চলাকালীন সংসদের উচ্চকক্ষে ‘খারাপ আচরণে’র অভিযোগে আম আদমী পার্টির দুই এবং নির্দল এক সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যান।
রাজ্যসভা সূত্রে খবর, গতকাল অধিবেশনে গুজরাটে বিষমদ কাণ্ড নিয়ে সরব হন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। সরকার পক্ষের অভিযোগ, রাজ্যসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন আপ সাংসদ (AAP MLA)। একইসঙ্গে কাগজ ছিঁড়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারের দিকে ছুঁড়েও মারেন তিনি। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং বলেন, “চলতি সপ্তাহের জন্য অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” এদিন আরও দুজনের নাম জুড়ল তালিকায়। একের পর এক সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়েই বিরোধী শিবিরের রাশ তৃণমূল হাতে নিয়ে নিয়েছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসই মূলত সরব হলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এক্ষেত্রে সামনের সারিতে চলে এসেছে তৃণমূলই। বর্তমানে তারাই সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদদের নিয়ে পঞ্চাশ ঘণ্টার ম্যারাথন অবস্থানের আয়োজন করার পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের প্রত্যেকেই যাতে অবস্থানে এসে কিছুক্ষণ কাটান, সেই ব্যবস্থাও করেছে। রাজ্যসভার সব বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
আবার রাজ্যসভা থেকে একসঙ্গে কুড়ি জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে বিপাকে পড়েছে সরকারপক্ষ তথা বিজেপি। বিষয়টা জনমানসে ভাল প্রভাব ফেলছে না, সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেই পরিস্থিতি থেকে তারা বের হতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার সকালেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর ঘরে একপ্রস্থ বৈঠকের পরে রাজ্যসভার নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আলাদাভাবে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে রাজি না হওয়ায় ঘরোয়াভাবেই সেই আলোচনা হয়েছে। সেখানেই বিরোধীরা তাঁদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.