Advertisement
Advertisement

Breaking News

রান্না নিয়ে অশান্তি, উত্তরপ্রদেশে দিশি-বিলিতির ‘ককটেলে’ রুমমেটকে খুন বন্ধুর!

পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।

Angry over cooking dispute Uttar Pradesh man murders roommate
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 30, 2025 3:09 pm
  • Updated:March 30, 2025 3:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান্না নিয়ে ঝামেলা! দিশি মদের সঙ্গে বিলিতি মদ মিশিয়ে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ রুম পার্টনারের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ঘটনায় বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নেত্রাম শর্মা। বয়স ৩২ বছর। তিনি ফারুখাদাবাদের বাসিন্দা। মাসখানেক আগে গাজিয়াবাদে খোডা থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সুধীর শর্মার সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে নেত্রামকে দেখা যাচ্ছিল না। বেপাত্তা ছিলেন সুধীরও। ২১ মার্চ ওই ঘর থেকে পচা-দুগর্ন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে নেত্রামের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।

কী করে যুবকের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে ফ্ল্যাট ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ফুটেজে দেখা যায় ১৭ মার্চ সকাল ৭টা নাগাদ সুধীর গেটের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যান। কিন্তু পরে তাঁকে আর ফিরে আসতে দেখা যায়নি। তাতেই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে সুধীরের উপর। পুলিশের জালে ধরা পড়েনও তিনি।  জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুধীর খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

কিন্তু কেন খুন? পুলিশকে ধৃত জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ তাঁদের মধ্যে রান্না নিয়ে বচসা হয়। মৃত নেত্রাম বাইরে থেকে খাবার আনাতে পছন্দ করতেন। সুধীর ঘরে রান্না করতেন। তাঁদের ঘরে রান্না করলে ঘর গরম হয়ে উঠত, তাই নিয়ে দু’জনের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা লেগেই থাকত। ১৫ মার্চ তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় হয়। নেত্রাম তাঁকে গালিগালাজ করে অভিযোগ করেছেন সুধীর।

কী করে খুন? সুধীর আগে শুনেছিলেন দিশি মদের সঙ্গে বিলিতি মদ মিশিয়ে খেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ব্যক্তি। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অভিযোগ, সেই ‘কুবুদ্ধি’ কাজে লাগান সুধীর। ১৬ তারিখ রাতে দিশি ও বিলিতি মদ খাওয়ায় নেত্রামকে। পুলিশের দাবি, বিষক্রিয়ার নেত্রাম বিছানায় এলিয়ে পড়লে। তাঁকে চাদর দিয়ে ঢেকে দেন সুধীর। পরে মৃত্যু হলে ১৭ তারিখ সকালে বাড়ি ছেড়ে চলে যান অভিযুক্ত। ২৯ তারিখ সুধীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১) ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement