সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে নেই স্বামীর উপার্জন। সংসারে নেই সামান্য খাবারের জোগান। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীকে দুরবস্থার কথা জানিয়েছিলেন মহিলা। সেকথা শুনে মন গলে যায় প্রতিবেশীর। বিপদের দিনে তিনি মহিলার পাশে দাঁড়ান। খাবার তুলে দেন তাঁর হাতে। তাতেই রেগে যান স্বামী। স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে সে। তালাকও দেয় স্ত্রীকে। তারপর থেকেই অবশ্য এলাকাছাড়া ওই ব্যক্তি। স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
প্রায় ১২ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলির জুলফিকারের সঙ্গে জারিনার বিয়ে হয়। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। শ্রমিকের কাজ করেই সংসার চালান জুলফিকার। সামান্য আয়ে সংসার সামলাতে নাভিশ্বাস উঠত জুলফিকারের। তার উপর আবার এখন লকডাউনে আয় প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে এখন দু’মুঠো খাবারদাবার নেই। দিনকয়েক আগে জুলফিকার গিয়েছিল রেশন তুলতে।
সেই সময় এক প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানান। ওই প্রতিবেশীর সেকথা শুনে কষ্ট হয়। তারপরই তিনি জরিনার হাতে সামান্য কিছু খাবারদাবার দেন। এদিকে, ততক্ষণে রেশন নিয়ে বাড়িতে চলে আসে জুলফিকার। প্রতিবেশীর থেকে খাবারদাবার নিয়ে আসতে দেখে জারিনার উপর বেজায় চটে যায় সে। চিৎকার করতে শুরু করে সে। কথা কাটাকাটির মাঝে আচমকাই স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। তারপরই তালাক দিতে থাকে।
স্ত্রীকে মারধর এবং তালাক দেওয়ার পর থেকেই এলাকাছাড়া জুলফিকার। এদিকে, এই ঘটনার পরই বরাদাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে তিন তালাক দেওয়া বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয়। তবে তা সত্ত্বেও সে আইন যে অনেকেই মানছেন না তা আরও একবার প্রমাণিত হল এই ঘটনায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.