Advertisement
Advertisement
জম্মু

শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে উপত্যকা, বিক্ষোভে তপ্ত শ্রীনগর

অভিযুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে পদক্ষেপ নিতে জটিলতা, দাবি পুলিশের৷

Anger erupts in Kashmir over rape of 3-year-old minor in Sumbal, Valley shuts down

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 13, 2019 4:44 pm
  • Updated:May 13, 2019 9:32 pm  

মাসুদ আহমেদ: ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অগ্নিগর্ভ উপত্যকা। শনিবার, রবিবারের পর সোমবারও চলছে বিক্ষোভ। সম্বল, বন্দিপোরা-সহ শ্রীনগরের বেশ কিছু অংশে বন্ধ দোকানপাট, এমনকী স্কুল-কলেজও। পরিস্থিতি যাতে আর উত্তপ্ত না হতে পারে সেই কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷    

[আরও পড়ুন: ‘১৯৮৮-তেই ব্যবহার করেছি ডিজিটাল ক্যামেরা’, মোদির মন্তব্যে হাসির রোল]

ঘটনার সূ্ত্রপাত ৮ মে। রোজা পালনে ব্যস্ত ছিল উপত্যকা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। জম্মু-কাশ্মীরের মালকিপোরা এলাকার বাসিন্দা ওই নিগৃহীতা। জানা গিয়েছে, ইফতারের ঠিক আগেই মিষ্টির লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যায় এক যুবক। এরপর দীর্ঘক্ষণ খোঁজ মেলেনি তার। রোজা ভাঙার পর বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। সে তার বাবা, মায়ের কাছে গোটা ঘটনা জানায়। এরপরই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই শিশুর পরিবার। তদন্তে নেমে ইতমধ্যেই তাহির আহমেদ মির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে ফুঁসতে থাকে শ্রীনগর। শনিবার এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয়রা। রবিবারও জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রাখা হয় দোকানপাট। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। একটি ধর্মীয় সংগঠনের তরফে সোমবার শ্রীনগরে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ।পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে  শ্রীনগরের একটা অংশে ইন্টারনেটের গতিও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

অন্যদিকে, অভিযুক্তের বয়স নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয় একটি স্কুলের দেওয়া সার্টিফিকেটে অভিযুক্তকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে দাবি করা হয়েছে। এরপরই ওই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনকী রোষে স্কুলটি জ্বালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্কুলের যিনি প্রধান শিক্ষক, তিনিও নির্যাতিতার আত্মীয়।  তাঁর বিপদ হতে পারে, এই আশঙ্কা করে ওই শিক্ষককে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: তেরঙ্গা চেনেন না রবার্ট বঢরা, ভোট দিয়ে পোস্ট করলেন প্যারাগুয়ের পতাকা]

ইতিমধ্যেই টুইটে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, “এটা কোন ধরণের মানসিকতার নির্দশন? অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা হেনস্তার শিকার হলে তাঁদেরই দায়ী করা হয়। কিন্তু একটি শিশুর সঙ্গে যা ঘটল, এর দায় কার?” ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর কাশ্মীরের ডিআইজি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই।’’ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement