ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক মায়ের, সন্দেহ মেয়ের। মায়ের এই ‘স্বভাব’ পরিবর্তনে এবং ‘কুখ্যাতি’ থেকে বাঁচতে গ্রাম ছাড়ার উদ্দেশ্যে আজব কৌশল নিলেন এক তরুণী। আগুন ধরিয়ে দিলেন নিজের পাশাপাশি প্রায় গোটা গ্রামে। অন্ধ্রপ্রদেশের এই ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তরুণীর কাণ্ডে হতবাক হয়ে গিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) তিরুপতি জেলার সানামবাটলা গ্রামের। বোর্ড পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন কীর্তি। অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতেন। মায়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ তাঁর। যে কোনও ভাবে এই ‘স্বভাব’ বদলাতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি মায়ের কারণে কুখ্যাতি থেকে রেহাই পেতে গ্রাম ছাড়তে চেয়েছিলেন। সোজা উপায়ে তা হচ্ছিল না। তাই বাঁক পথ ধরেন। অভিযোগ, নিজের বাড়ি তো বটেই, গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন কীর্তি। যাতে ‘অভিশপ্ত’ গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় পরিবার।
যদিও একদিনে এই কাজ করেননি তরুণী। এক মাস ধরে ১২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। রাতে ঘুমন্ত মায়ের শাড়িতে একাধিকবার আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিছু দিন বাদে বাদে এই কাজ করেন। যার পর বাস্তবিক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল পরিবারে। অন্যদিকে সানামবাটলা গ্রামের মানুষও ভীত হয়ে পড়েন। তরুণীর কৌশলে কাজ হয়। অন্ধবিশ্বাস জন্মাচ্ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। অনেকেই মনে করছিলেন ‘ভূতে’ উপদ্রব করছে। তা থামাতে পুজো-আর্চাও শুরু হয়।
আজব কাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তারা গ্রামবাসীকে বোঝায় অপদেবতার কাণ্ড নয়, কেউ ইচ্ছাকৃত এই কাজ করছে। শেষ পর্যন্ত রাত পাহারার বন্দোবস্ত হয়। তাতেই কীর্তির কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। ধরা পড়ে যান তিনি। পুলিশ জেরায় সব কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তরুণীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.