ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ মাসে ৮০ জনেরও বেশি লালসার (Rape) শিকার হতে হয়েছিল তাকে। অবশেষে ১৩ বছরের কিশোরীকে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) গুন্টুর থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। গত কয়েক মাস ধরে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে তাকে। মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দশের বেশি অভিযুক্তকে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই মামলার সঙ্গে জড়িত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও বহু অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে।
কীভাবে এই জঘন্য চক্রান্তের শিকার হল ছোট্ট মেয়েটি? পুলিশ জানাচ্ছে, স্বর্ণ কুমারী নামের এক মহিলা রয়েছে এর পিছনে। গত জুনে এক হাসপাতালে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিশোরীর মা ভরতি ছিলেন সেখানে। তাঁর মৃত্যুর পরে মেয়েটিকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় স্বর্ণ কুমারী। মেয়েটির বাবা তার খোঁজ পায়নি। আগস্টে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি কিশোরীর নিখোঁজ রহস্যের।
তবে এবছরের জানুয়ারিতে প্রথম এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সূত্রে তদন্ত এগতে থাকে। চলতে থাকে গ্রেপ্তারি। অবশেষে মঙ্গলবার দশের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে এক বি টেক পড়ুয়াও। সেই সঙ্গে অবশেষে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। এপর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ৮০ জনের মধ্যে ৩৫ জন দালাল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে হতবাক হয়ে গিয়েছে পুলিশ। গত ৮ মাসে নারকীয় অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে মেয়েটিকে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন অঞ্চলে তাকে নিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত স্বর্ণ কুমারী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট কে সুপরজা জানাচ্ছেন, ”মেয়েটির বয়স ও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বহু গ্যাং তাকে কিনে নিয়ে নানা এলাকার যৌন পল্লিতে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপরে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। বাধ্য করা হয় দেহোপজীবিনী হিসেবে কাজ করতে।”
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকেই গ্রেপ্তার করতে চায় পুলিশ। সেইমতো তল্লাশি শুরু হয়েছে। একটি গাড়ি, ৫৩টি সেলফোন, তিনটি অটো ও বাইক ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিজয়ওয়াড়া, হায়দরাবাদ, কাকিনাড়া ও নেল্লোর থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.