সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) সরকার গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার এক স্কুল শিক্ষককে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করল। তিনি স্কুলে বসে মদ্যপান (alcohol) করে পড়ুয়াদের হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে পড়তেই ওই স্কুল শিক্ষককে (School Teacher) বরখাস্ত করা হয়। অন্ধ্রের কৃষ্ণা জেলার ঘটনা। তবে ঠিক কবে এই ভিডিও রেকর্ড হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
কৃষ্ণা জেলার পালাকা মণ্ডল এলাকার কৃষ্ণপুরম স্কুলের কে কোটেশ্বর রাও নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, কোটেশ্বর প্রায়ই মদ্যপান করে স্কুলে আসেন। শুধু তাই নয় স্কুলে বসে পড়ুয়াদের উপস্থিতিতেও মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ। ভিডিওটি সামনে আসার পর জানা যাচ্ছে, এটি তাঁর নিত্যিদিনের কীর্তি।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে (Viral Video) দেখা যাচ্ছে, স্কুলে মত্ত অবস্থায় বসে রয়েছেন কোটেশ্বর। গায়ে কোনও জামা নেই। রয়েছে স্যান্ডো গেঞ্জি। তাঁর সামনে রাখা খাবার, পাশে একটি মদের বোতল। কথা বলতে বলতেই সেটি আবার তুলে দেখাচ্ছেন। এই ভিডিওটি কোনও অভিভাবক স্কুলে গিয়ে হয়তো ক্যামেরাবন্দি করেন। ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাঁকে যে ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে, তা তিনি বিলক্ষণ জানেন। তাতেও তাঁর বিশেষ কোনও হেলদোল নেই। ভিডিও করতে করতেই এক অভিভাবক তাঁর মদ্যপান নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন কোটেশ্বর।
ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনেই এক স্কুল ছাত্র অভিযোগ করছে, তাকে শাস্তি দেওয়ার নামে নগ্ন হতে বলেন ওই শিক্ষক। এক পড়ুয়া জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলের আলমারিতেই মদের বোতল রাখেন। স্কুলে এসে মদ্যপান করেন। আর মদ্যপান করার পরই শুরু করেন ঝামেলা।
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই সরব হয়েছেন স্কুলে অভিভাবকরা। তাঁরা ওই ভিডিও-সহ অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল শিক্ষা দপ্তরে, কোটেশ্বরের শাস্তি দাবি করা হয়। ক্ষোভের সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, এই রকম শিক্ষক স্কুলে থাকলে পড়ুয়াদের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়বে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর কোটেশ্বরকে সাসপেন্ড করেছে। নোটিস দিয়ে এই ঘটনা এবং ভিডিও সম্পর্কে তাঁর ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। কোটেশ্বরের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.