সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) রাতারাতি লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে গাধার (Donkey) মাংসের বিক্রি। স্রেফ ২ মাসে অন্ধ্রের তিন জেলা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮০০ কেজি গাধার মাংস। আরও অন্তত ১০০টি গাধা উদ্ধার হয়েছে তিন জেলায় বিভিন্ন কসাইখানা থেকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গুন্টুর (Guntur), বাপটালা, এবং প্রকাশম এই তিন জেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই গাধার মাংসের চাহিদা বাড়ছে। এই তিন জেলার পুলিশ গত ১ অক্টোবর থেকে লাগাতার তল্লাসি চালিয়ে প্রচুর কাটা মাংস উদ্ধারও করেছে। শুধু গুন্টুর জেলাতেই গত ২ মাসে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ কেজির বেশি মাংস। পুলিশ সূত্রের খবর, এই এলাকায় গাধার মাংসের চাহিদা ব্যাপক। দামও পাঁঠার মাংসের (Mutton) সমান। তাই বাড়তি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু মাংস ব্যাবসায়ী মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে গাধা কিনে এনে এই এলাকার কসাইখানাগুলিতে বিক্রি করে।
আসলে এর পিছনে কাজ করছে একটা ভ্রান্ত ধারণা। মনে করা হচ্ছে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের অসুখে ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি নেই। সেই সঙ্গে যে কোনও রকমের ব্যথার উপশমও নাকি হয় গাধার মাংস খেলে। এরই পাশাপাশি অনেকের বিশ্বাস, যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে গাধার মাংস! এই ধরনের ধারণাগুলি বশবর্তী হয়ে অন্ধ্রে ক্রমেই বাড়ছে এই পশুর মাংসের চাহিদা। অবস্থা এমন, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু থেকে গাধার চোরাচালান শুরু হয়েছে! দাম যতই বাড়ুক, চাহিদার অন্ত নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার তৎপর হয়ে উঠেছে যে করে হোক গাধার মাংস বিক্রি আটকাতে। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, প্রকাশম, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী ও গুন্টুরের মতো জেলায় এই মাংসের চাহিদা সর্বাধিক। পুলিশ জানাচ্ছে, গাধার মাংস বিক্রিটা যে শুধু অস্বাস্থ্যকর তাই নয়, বেআইনিও। বিশেষ করে গাধাগুলিকে যেভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাটা হচ্ছে, তাতে এই মাংস খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেকারণেই জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.