সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজনীতিতে জাতপাতের সংকীর্ণতার ছাপ! বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেও জাতপাতের সংকীর্ণতার বাইরে বেরতে পারলেন না অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। নিজের ডেপুটি হিসেবে এদিন পাঁচজনকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যা ভারতের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পাঁচজনকে উপমু্খ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেননি। কিন্তু, জগন কেন এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন? এর পিছনে রয়েছে জাতপাতের অঙ্ক।
অন্ধ্রপ্রদেশে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, সংখ্যালঘু, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং কৃষিজীবী কাপু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা প্রায় সমান। তাই জগন এই প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকেই একজন করে উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, স্রেফ জাতিগত সমীকরণ বজায় রাখার জন্য পাঁচজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত? জগন অবশ্য সেসবের ধার ধারছেন না। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মন্ত্রিসভার ৫০ শতাংশ আসন ছেড়ে দেবেন বলেও ঘোষণা করেন জগনমোহন। শুক্রবার নিজের দলের নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সুপ্রিমো। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এদিন আরও একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদের মতো ৬০ মাস নয়, অন্ধ্রের মন্ত্রীদের মেয়াদ কমিয়ে ৩০ মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ আড়াই বছর পরই নতুন মন্ত্রীদের মেয়াদ শেষ হবে। তারপর আবার অন্য মন্ত্রী নিয়োগ করবেন জগন। যদিও, এই পুরো ব্যাপারটাই বেসরকারিভাবে করা হয়েছে। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আড়াই বছর পর মন্ত্রিসভার রদবদল করব। তাতে ৯০ শতাংশ পদেই নতুন কাউকে বসানো হবে, যাতে অন্যরাও মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান।” জগনের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। তবে, আপাতত কাটাছেঁড়া চলছে তাঁর পাঁচ মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.