Advertisement
Advertisement

Breaking News

ক্যানসার

কনভয় থামিয়ে ক্যানসার আক্রান্তের পাশে জগন, দিলেন ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা

নয়া মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রূপ আরও একবার প্রত্যক্ষ করলেন অন্ধ্রবাসী।

Andhra CM Jaganmohan Reddy stops convoy to help cancer patient
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 5, 2019 12:44 pm
  • Updated:June 5, 2019 12:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ চন্দ্রবাবু নায়ডুকে গদিচ্যুত করেছেন। বসেছেন অন্ধ্রের মসনদে। গোটা রাজ্যে গত কয়েক বছরে মানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সুপ্রিমোকে অফুরন্ত ভালবাসা দিয়ে ভোটবাক্স ভরিয়ে দিয়েছেন সীমান্ধ্রের সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই জনহিতকর কাজ শুরু করে দিয়েছেন জগন। মঙ্গলবার তাঁর মানবিক রূপ আরও একবার প্রত্যক্ষ করলেন অন্ধ্রবাসী। রাস্তায় কনভয় দাঁড় করিয়ে ক্যানসার আক্রান্তের সহায়তায় ছুটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত। এক মুমুর্ষু কিশোরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার জন্য ২০ লক্ষ সাহায্যের আশ্বাসও দিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘বাঙালি মেয়েরা মুম্বইয়ে বার ডান্স করতে পারলে, হিন্দি শিখতে আপত্তি কেন?’ বিতর্কে তথাগত]

Advertisement

মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমের সারদা পীঠমে দর্শনে গিয়েছিলেন জগনমোহন রেড্ডি। সেখান থেকে এয়ারপোর্টে ফেরার সময় তিনি দেখেন, কিছু কিশোর-কিশোরী প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্ল্যাকার্ডে ১৫ বছর বয়সী নীরজ রেড্ডির দুরারোগ্য ব্যাধির উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল ওই কিশোর-কিশোরীরা। লিউকিমিয়ায় আক্রান্ত কিশোর তাদেরই বন্ধু। বিষয়টি দেখেই কনভয় থামিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে যান জগন। তাদের মুখ থেকেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নীরজের কথা জানতে পারেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নীরজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের তিনি জানান, রাজ্য সরকার ওই কিশোরের চিকিৎসার জন্য ২০ লক্ষ টাকা সহায়তা করবে। পরিবার জানায়, ওই কিশোর হায়দরাবাদের একটি ইন্দো-মার্কিন ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ভরতি রয়েছে। ওই কিশোরের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাঁরা মাত্র ৪০ হাজার টাকাই জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: লোকসভার পর ফের ধাক্কা খেল কংগ্রেস, বিজেপির পথে অন্তত ১০ জন বিধায়ক!]

এরপরই আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন জগনমোহন রেড্ডি। স্থানীয় জেলা আধিকারিককে নির্দেশ দেন, নীরজের চিকিৎসার জন্য টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত নীরজের বাবা কে আপ্পালা নায়ডু দিনমজুরের কাজ করেন এবং মা সবজি বিক্রি করে দিন গুজরান করেন। তাই দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার মানবিকতার নজির স্থাপন করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement