সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারও জামিন মেলেনি। তার মধ্যেই রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামীকে (Arnab Goswami) নবি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে পাঠাল রায়গড় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন বিনা অনুমতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। প্রসঙ্গত, হাই কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন সংরক্ষিত রেখেছে।
গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় অর্ণবকে। তাঁকে আলিবাগে এক মিউনিসিপ্যাল স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী অফিসার ইনস্পেকটর জামিল শেখের কথায়, ‘‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা জানতে পারি অর্ণব সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ রয়েছেন। তবে অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তিনি। কেননা ওঁর ফোন আমরা বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিলাম ওঁর বাড়ি থেকেই। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে এরপরই আমি আলিবাগের জেল সুপারিটেন্ডেন্টকে এবিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলি। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ওঁকে রবিবারই তালোজা জেলে পাঠানোর বিষয়ে।’’
এদিন অর্ণবকে ভ্যানে তোলার পরে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘‘আমার জীবন বিপন্ন। দয়া করে আদালতকে বলুন আমাকে সাহায্য করতে।’’ কাতর স্বরে তিনি আরও বলেন, তাঁর আইনজীবীর সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। উলটে কথা বলতে চাইলে ওই জেলের জেলার তাঁকে নিগ্রহ করেন।
এদিকে গতকাল অর্ণবের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু ছ’টা বেজে গিয়েছে তাই অর্ডার পাশ করা সম্ভব নয়। আদালত চেষ্টা করবে দ্রুত রায়দানের। তবে বিচারপতিরা দ্রুত রায় দেওয়ার চেষ্টার কথা বললেও তাঁরা কোনও তারিখ দেননি। তবে বিচারপতি এসএস শিণ্ডে ও এমএস কর্নিকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, অর্ণব চাইলে আলিবাগের দায়রা আদালতেও জামিনের আবেদন করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় অর্ণব ছাড়া বাকি দুই অভিযুক্ত হলেন ফিরোজ শেখ ও নীতীশ সারদা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.