সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলাম নবি আজাদের পথেই হাঁটলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। দলের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। সামনেই হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সেই পদ ছেড়ে দিলেন প্রবীণ নেতা। যা কংগ্রেসের (Congress) জন্য নতুন অস্বস্তির জন্ম দিল।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে আনন্দ জানিয়েছেন, নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করতে রাজি নন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে পদ ছাড়লেও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারপর্ব চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন আনন্দ। দিন কয়েক আগে একইভাবে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার আজাদের পথই ধরলেন আনন্দও।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের (Congress) আরেক বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল দলত্যাগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আনন্দ শর্মা সিব্বলের বেশ ঘনিষ্ঠ। সিব্বল যে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গ্রুপের সদস্য ছিলেন, গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাও সেই গ্রুপেরই অংশ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এভাবে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও আনন্দ শর্মার দাবি, তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন।
সামনেই হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচন। আনন্দ শর্মা সেরাজ্যেরই বাসিন্দা। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং বাগ্মী নেতা হিসাবে পরিচিত আনন্দ দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের রাজ্যসভার (Rajya Sabha) উপনেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া রাজ্যসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। বদলে জায়গা পেয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। তাতেই গোঁসা হয়েছে আনন্দের। বর্ষীয়ান নেতার এই গোঁসা কংগ্রেসের জন্য মোটেই ভাল খবর নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.