সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাৎক্ষণিক তালাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কার্যত সে নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হোয়্যাটঅস্যাপেই স্ত্রীকে তালাক দিলেন এক অধ্যাপক। খালিদ বিন ইউসুফ খানের এই কাজে ফের তুঙ্গে বিতর্ক।
[ গো-মাংস পাচারের অভিযোগে গো-রক্ষকদের গুলি, মৃত্যু ব্যবসায়ীর ]
তিন তালাক রদ হওয়ার পর মুসলিম মহিলারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল, বাস্তবে এই নিয়মের রূপায়ণ সম্ভব তো? সে আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল। সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধকে অমান্য করেই তিন তালাক দিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউসুফ খান। তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন খালিদ জানাচ্ছেন, প্রথমে হোয়্যাটসঅ্যাপে তিন তালাক দেন ওই অধ্যাপক। পরে টেক্সট মেসেজ করে স্ত্রীকে সে কথা জানিয়ে দেন। আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে উপাচার্যর সামনে ধরনাতেও বসেছিলেন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেয়। সাহায্যের প্রত্যাশায় দরজায় দরজায় ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু সুরাহা হয়নি। পরে পুলিশের সাহায্যে নিজের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। তিন তালাকের সুপ্রিম আইন যে কতখানি পলকা, তাইই অভিযোগ করে তুলে ধরেন তিনি।
A Sanskrit Professor in Aligarh Muslim University, Khalid Khan accused by his wife of giving her triple talaq. Wife registers case in Aligarh’s Civil Lines Police Station. pic.twitter.com/9x6xZSyOCr
— ANI UP (@ANINewsUP) November 12, 2017
অন্যদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক। তাঁর দাবি, তিনি হোয়্যাটসঅ্যাপ বা টেক্সট করে শুধু তালাক বলেননি। স্ত্রীর সমানেই বলেছেন, অন্য দুই সাক্ষীর সামনে। সুতরাং মহিলা যে দাবি করছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। উপরন্তু তাঁর অভিযোগ, তিনি নিজেই স্ত্রীর কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাঁর দাবি, ইয়াসিনের বিয়ের আগে বিভিন্ন গোপন সম্পর্ক ছিল। যা তিনি লুকিয়েছিলেন এতদিন। পরে পরে তা জানতে পেরেছেন ওই অধ্যাপক। এবং সে কারণেই তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, তিনি তালাক দেবেনই। ইয়াসমিন যাই করুন না কেন তার পরোয়া করেননি তিনি।
[ যোগীর রামমূর্তির জবাব, সুউচ্চ কৃষ্ণমূর্তি বানাচ্ছেন অখিলেশ ]
তাৎক্ষণিক তালাক প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ হয়েছে মাত্র দু’মাস আগে। তার মধ্যেই এই ঘটনা ফের নতুন করে বিতর্ক জাগিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.