সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশের মাত্র মাস দুই পরে ফের তিন তালাকের ঘটনা। অভিযুক্ত খোদ অধ্যাপক। আলিগড় মুসিলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপকই তাঁর স্ত্রীকে হোয়্যাটসঅ্যাপে তিন তালাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে অভিযোগের পরেরদিনই অধ্যাপক জানালেন, তিনি তিন তালাক দেননি।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক খালিদ খান জানান, তিনি তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেননি। তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্সের কথা জানিয়েছিলেন। প্রথমে সামনাসামনি মুখে সে কথা জানান। পরে একই জিনিস হোয়্যাটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজ করেও জানান। তাঁর সাফাই, সুপ্রিম নির্দেশ তিনি অমান্য করেননি।
[ হোয়্যাটসঅ্যাপেই তিন তালাক সংস্কৃত অধ্যাপকের, আত্মহত্যার হুমকি স্ত্রীর ]
তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলাদের আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘ। সম্প্রতি তাতে সাফল্য মিলেছিল। মাস দুই আগেই এই তালাক প্রথা রদ করে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ আইনত তা দণ্ডনীয়। তবে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, বাস্তবে এ নিয়ম কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে। কার্যত সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই এবার তিন তালাকের অভিযোগ তুলেছিলেন খালিদ খানের স্ত্রী ইয়াসমিন। তিনি জানান, তাঁর অধ্যাপক স্বামী তাঁকে তিন তালাক দিয়েছেন। সাহায্যের জন্য তিনি দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তাই উপাচার্যের ঘরের সামনে ধরনায় বসেন। এবং আত্মহত্যারও হুমকি দেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিজের বাড়িতে ঢোকার অধিকার পান বলে জানিয়েছিলেন মহিলা।
[ ইসলামাবাদের হাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর তুলে দেওয়ার আরজি ঋষি কাপুরের ]
এদিকে আত্মপক্ষ সমর্থনে রবিবারই অভিযুক্ত অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, তিনি স্ত্রীকে হেনস্তা করেননি। উলটে তিনি নিজে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কেননা তাঁর স্ত্রীর বিয়ের আগে বেশ কিছু সম্পর্ক ছিল। যা তিনি গোপন করে গিয়েছিলেন। তার জেরে চরম মানসিক অশান্তি পোহাতে হয় তাঁকে। তারপরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকে গিয়েছিল। যদি স্ত্রীর হেনস্তার শিকারও তিনি হয়ে থাকেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়ার অর্থ সুপ্রিম নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখানো। সেই প্রশ্নেরই জবাব দিয়ে সোমবার অধ্যাপক জানিয়েছেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভাঙেননি। স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেননি। বরং এটি বৈধ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া। প্রথমে মুখে বলেছেন। অন্য সাক্ষীর সামনেই বলেছেন। পরে সেই একই জিনিস হোয়্যাটসঅ্যাপে ও টেক্সট মেসেজে লিখে পাঠিয়েছেন। স্ত্রীর অভিযোগের মুখে অধ্যাপকের দাবি, তিনি স্ত্রীকে তালাক দেননি। তাঁর স্ত্রী পুরো ঘটনা অতিরঞ্জিত করছেন বলেই দাবি তাঁর।
I haven’t given her triple talaq. I divorced her verbally, sent the same via post & WhatsApp. After a month, I divorced her verbally&sent it via SMS. She is still my wife. There was never a 3rd divorce: Khalid Khan, AMU Professor whose wife accused him of giving her triple talaq pic.twitter.com/vhKFpBOWTY
— ANI UP (@ANINewsUP) November 13, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.