ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) পাশ হওয়ার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাতে সই করতেই উত্তাল হয়ে ওঠে অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকাতেও। আর গত মঙ্গলবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। বেশ কয়েকটি জায়গায় মেট্রো পরিষেবা স্থগিত রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার হন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহের মতো বিশিষ্ট নাগরিকরা। বিক্ষোভকারীদের কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউও। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে এই খবরগুলি ছড়িয়ে পড়তেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
এই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জরুরি বৈঠকে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয় বলেই খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবারও কলকাতা, দিল্লি, মু্ম্বই ও বেঙ্গালুরু-সহ ১০টি শহরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(CAA) বিরুদ্ধে পথে নামেন সাধারণ মানুষ ও বিশিষ্টজনরা। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে কয়েকশো জনকে আটক করে পুলিশ। নতুন করে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। গত সপ্তাহের হিংসাত্মক বিক্ষোভ মাথায় রেখে, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকের পাশাপাশি দিল্লি-সহ বেশকিছু জায়গায় প্রকাশ্য জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। দিল্লি ও হরিয়ানার সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.