Advertisement
Advertisement

Breaking News

Delhi

রাজ্যসভায় দিল্লি ‘দখলে’র লড়াই, বিতর্কিত বিলেই শক্তিপরীক্ষা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের

তুঙ্গে কেন্দ্র বনাম কেজরি সরকারের লড়াই।

Amit Shah tables Delhi ordinance bill in Rajya Sabha | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 7, 2023 6:39 pm
  • Updated:August 8, 2023 10:42 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে রাজ্যসভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিতর্কিত বিলকে কেন্দ্র করেই সংসদে  কার্যত শক্তিপরীক্ষা হবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের।

দিল্লি দরবারের দখল নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র বনাম কেজরি সরকারের লড়াই। দেশের শাসকদলকে ঘিরে ফেলতে আসরে নেমেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। রাজ্যসভায় মোদি সরকারের অধ্যাদেশ বাণ ভোঁতা করতে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল। তবে হাত শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে কয়েকদিন আগেই দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে এনডিএ সরকারের পাশে দাঁড়ান কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। আর এখানেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের শক্তিপরীক্ষা। 

Advertisement

এই প্রেক্ষাপটেই আজ সোমবার রাজ্যসভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিশ্লেষকদের মতে, অঙ্কের খেলায় সংসদে বিলটি পাশ হয়ে যাবে। কারণ, পরিসংখ্যান শাসকদলের পক্ষেই রয়েছে। রাজ্যসভার মোট আসন সংখ্যা ২৪৫। বর্তমানে ৮টি আসন খালি থাকায় তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩৭। অর্থাৎ, বিলটি পাশ করাতে সরকারের প্রয়োজন ১১৯ জন সদস্যের সমর্থন। এই মুহূর্তে এনডিএ জোটের কাছে রয়েছে ১১১টি আসন। বিজেডি (৯টি আসন), ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি (৯টি) এবং টিডিপিকে (১ আসন) দলে ভিড়িয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০। ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি পাশ হওয়া নিয়ে সেই অর্থে কোনও বাধা থাকছে না।

[আরও পড়ুন: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিল, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে, আশ্বাস মন্ত্রীর]

গত বৃহস্পতিবারই লোকসভায় এই বিল পাশ হয়। তারপরেই সভাকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। উল্লেখ্য, সেই ২০১৮ সাল থেকে উপরাজ্যপালের ক্ষমতা এবং দিল্লি (Delhi) সরকারের সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সেই মামলায় ৫ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, উপরাজ্যপাল নয়, আসল প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকা উচিত নির্বাচিত সরকার এবং মন্ত্রিসভার হাতেই। তারপরই The Government of CNCT of Delhi (Amendment) ordinance শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্র। গঠন করা হয় ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি’। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১-কে সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার।

[আরও পড়ুন: অসুস্থতার দোহাই দিয়েও মিলল না জামিন, দিল্লির আদালতে খারিজ অনুব্রতর আরজি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement