Advertisement
Advertisement

Breaking News

সংসদে দলীয় সাংসদদের গরহাজিরা, বেজায় ক্ষুব্ধ অমিত শাহ

কৈফিয়তের মুখে অনুপস্থিত সাংসদরা।

Amit Shah rebuffs BJP MPs for bunking Parliament
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2017 1:16 pm
  • Updated:August 1, 2017 1:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ছাত্রজীবনের অভ্যাস। কলেজে নিয়মিত। তবে  ক্লাসে টিকি মিলবে না। দিনের পর দিন ক্লাসে ডুব দিয়ে কমন রুমে দেদার আড্ডা। এই রোগ দেশের সিংহভাগ সাংসদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিজেপি সাংসদদের এই প্রবণতা নজর এড়ায়নি দলীয় নেতৃত্বর। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ দলের সভাপতি অমিত শাহ। যেসব সাংসদরা সংসদে অনিয়মিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। অমিতের সাফ কথা, মানুষের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে কথা বলার সুযোগ পান প্রতিনিধিরা। এই কথা তারা ভুলে গেলেই মুশকিল হয়।

[ডোকলামে অবস্থার অবনতি, চিনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে মোদি]

এক মিনিট সংসদ চালাতে খরচ হয় ২৯ হাজার টাকা। এই বিপুল অর্থ ব্যয় হওয়ার পরও সাংসদদের একাংশের নাছোড় মনোভাবে সংসদের দুই কক্ষ প্রায়ই মুলতুবি হয়ে যায়। পরিসংখ্যান বলছে গড়ে প্রতিটি অধিবেশনে ৭০ শতাংশ সময় বাগবিতণ্ডার জেরে নষ্ট হয়। যে তিরিশ শতাংশ সময় বেঁচে থাকে তাও কী কাজে লাগানো হয়। উত্তর হ্যাঁ এবং না। দেখা গেল দিনের শুরুতে সংসদ ব্যাহত হয়েছে। বিকেলে কোনও বিল পাশ হবে। সেই সময় পার্লামেন্ট দেখা যায় একেবারে খাঁ খাঁ অবস্থা। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশের সময় দেখা যায় না বহু সাংসদকে। শাসক বা বিরোধী। সব ক্ষেত্রেই এই প্রবণতা। নিজের ঘরের এইল হালে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর তিনি দলীয় বৈঠকে জানান, মানুষের রায়ের মর্যাদা দিতে হবে। কারণ তারাই জিতিয়েছেন। দিনের পর দিন এভাবে অনুপস্থিতি মানা হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজধানীতে অমিত বুঝিয়েছেন এধরনের নেতাদের দলে প্রয়োজন নেই। দলীয় সাংসদদের উদ্দেশে অমিতের বার্তা, জেতার পর দায়িত্ব বেড়ে যায়।

Advertisement

[সিলিন্ডারে এখনই উঠছে না ভরতুকি, হাঙ্গামার মধ্যে সংসদে সাফাই মন্ত্রীর]

এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ ৫৭ জন। শরিকদের ধরলে সংখ্যাটা ৭৫। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে একাধিকবার সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন। গত সোমবার রাজ্যসভায় একটি বিল পাশের সময় সেই দপ্তরের মন্ত্রীকে সংসদে দেখা যায়নি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি অমিতের। সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমারের বক্তব্য, প্রত্যেক সদস্যকে সংসদে থাকতে হবে। এটা তার নিজেদের এলাকার বিষয় তুলে ধরার জায়গা। দ্বিতীয়বার এই কথা আর বলা হবে না দলীয় সাংসদদের পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অমিত। গেরুয়া শিবির যেসব সাংসদ রাজ্যসভায় থাকছেন না তাঁদের কৈফিয়তের মুখে পড়তে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement