সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব এবং গোটা ভারতে ক্রমশ বেড়ে চলা হিংসার জেরে নাগরিকত্ব বিলে বদল আনার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সরকারি সূত্রের খবর, হিংসা রুখতেই নয়া পন্থা নিতে চলেছেন তিনি।
শনিবার মেঘালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পরই মত পরিবর্তন হয়েছে শাহর। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে গিরিডিতে আয়োজিত এক জনসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদি সত্যিই নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন আনা হয়, তাহলে তা বিরোধীদের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখা হবে।
শুক্রবার মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য অমিতের সঙ্গে দেখা করেন। উত্তর-পূর্বে অশান্তি রুখতে সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল)-তে কিছু অদলবদলের জন্য অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। অমিত তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়ে প্রয়োজনে সিএএ (CAA)-তে বদল করবে কেন্দ্র।’’
গিরিডির জনসভায় অমিত বলেছেন, ‘‘কনরাড সাংমা আমাকে বলেছেন, ওঁরা কি সমস্যায় পড়েছেন। আমি ওঁদের বুঝিয়েছি, এটা কোনও ব্যাপার নয়। তাঁরা আইনে কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছেন। আমি তাঁদের বড়দিনের পর দিল্লিতে দেখা করতে আসতে বলেছি। আমি ওঁদের আশ্বস্ত করেছি এই বলে যে, আমরা বিষয়টি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করব এবং বিস্তারিত আলোচনা করে মেঘালয়ের সমস্যার সমাধান বের করব। কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’’ শাহর সঙ্গে দেখা করার পর মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘‘আমাদের কথা শোনা ও তা বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ার জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে ধন্যবাদ জানাই।’’
মেঘালয়ের জনজাতিগুলি শঙ্কিত হয়ে উঠেছে এটা ভেবে যে, নতুন আইনের জেরে এ বার পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে দলে দলে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ (বিশেষ করে ‘বাঙালি হিন্দু’ ও ‘বাংলাদেশের বৌদ্ধরা’) এসে ঢুকবেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যে। তখন মেঘালয়ের জনমানচিত্র, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। ব্যাপক আর্থিক চাপ পড়বে রাজ্যের আদি বাসিন্দাদের উপর। তাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সবচেয়ে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে রাজ্যগুলি, মেঘালয় সেগুলির অন্যতম। শিলং ও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ ও হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রায় গোটা সপ্তাহজুড়েই কারফিউ জারি রয়েছে মেঘালয়ের অনেক জেলায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.