সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে কাশ্মীরে। তার আগে উপত্যকাবাসীর মন পেতে রাজৌরিতে গিয়ে দেদার সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীরের গুজ্জর, বাকারওয়ালদের মতো পাহাড়িয়ারাও এবার থেকে তফসিলি উপজাতি হিসাবে সংরক্ষণের আওতায় আসবে। সংবিধান মেনে চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অতিরিক্ত সংরক্ষণ পাবে তারা। শাহর এই ঘোষণা ঐতিহাসিক তো বটেই, বিতর্কিতও।
কারণ, শাহর এই ঘোষণা কার্যকর হলে দেশে এই প্রথম ভাষার ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু হবে। এর আগে ভারতে কোনও দিন ভাষার ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি। এদিন কাশ্মীরে গিয়ে শাহ বলেন,”৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিলের পর অনেকে বলেছিলেন এবার রক্তগঙ্গা বইবে। এটা তাদের জবাব। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা থাকলে এই সংরক্ষণ কোনওদিন হত না। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, পাহাড়িয়ারা তাঁদের ন্যায্য অধিকার পাবেন।”
সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন চলতি বছরের শেষেই হতে পারে। সেজন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রথমবার কাশ্মীরের (Kashmir) মাটিতে গেরুয়া পতাকা ওড়াতে মরিয়া বিজেপিও। দু’দিনের উপত্যকা সফর থেকেই ভোটের অঙ্ক কষা শুরু করে দিলেন অমিত শাহ। রাজৌরিতে গিয়ে পাহাড়িয়াদের তফসিলি উপজাতিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা কাশ্মীরের রাজনীতিতে গেমচেঞ্জার হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আসলে জম্মু এলাকায় এমনিতেই বিজেপি বেশ শক্তিশালী। তাঁদের দুর্বল জায়গা কাশ্মীর উপত্যকা। আর সেখানে একটা বড় অংশের ভোটার এই পাহাড়িয়ারা। এতদিন তাদেরই সমকক্ষ বাকারওয়াল এবং গুজ্জররা সংরক্ষণের আওতায় থাকলেও পাহাড়িয়ারা ছিলেন না। গুজ্জররা পাহাড়িয়াদের সংরক্ষণে আপত্তিও জানিয়েছিল। তবে অমিত শাহ জানিয়েছেন, পাহাড়িয়ার সংরক্ষণের আওতায় এলেও গুজ্জরদের কোনও সমস্যা হবে না। পাহাড়িয়াদের জন্য বাড়তি সংরক্ষণ করা হবে। তবে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভাষাগত ভিত্তিতে কোনও জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সংস্থান নেই। সেক্ষেত্রে কাশ্মীরে পাহাড়িয়াদের সংরক্ষণ দিতে হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংসদে বিল পাশ করাতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.