ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরে ঘরে বাইরে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বিজেপি (BJP)। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই, কূটনৈতিক মহলেও বেশ চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ত্রাতা হয়ে উঠে এল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিব (Nankana Sahib) গুরুদ্বারে হামলা। এই হামলাকে হাতিয়ার করেই গেরুয়া শিবিরের নেতারা এবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কতটা প্রয়োজনীয়। আর এই প্রচারে অগ্রণী ভূমিকায় উঠে এলেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
দিল্লিতে বিজেপি কর্মীদের একটি সমাবেশে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে চলেছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই, পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের হামলার দিকে তাকান। যারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের জন্য এটা উপযুক্ত জবাব।” অমিত শাহর অভিযোগ, কংগ্রেস নেতারা দেশে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “আপনারা দেশের সংখ্যালঘুদের প্ররোচনা দিচ্ছেন। ভয় দেখাচ্ছেন যে ওঁদের নাগরিকত্ব চলে যাবে। আমি আপনাদের জানাতে চাই, কারও নাগরিকত্ব যাবে না। একবার ভাবুন নানকানা সাহিবে কীভাবে হামলা হচ্ছে। ভাবুন, আমাদের শিখ ভাইরা ভারত ছাড়া আর কোথায় যাবে।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধেয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে নানকানা সাহিবে শিখদের উপর বর্বরভাবে আক্রমণ করা হয়। গুরুদ্বার লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। দেওয়া হয় শিখ বিরোধী স্লোগান। সেসময় গুরুদ্বারের ভিতরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীরাও ছিলেন। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিখদের উপর এই নির্মম হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা দেশ। এবার এই হামলাকে রাজনৈতিকভাবেও ব্যবহার করা শুরু করল গেরুয়া শিবির। সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই এই বিলকে অসাংবিধানিক বলে পথে নেমেছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। বিজেপির পালটা দাবি, প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব না দিলে, তাঁরা এভাবেই অত্যাচারিত হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.