ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিব সেনার প্রতীক বিতর্কে নয়া মোড়। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, ২ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে শিব সেনার প্রতীক বিক্রি করছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে প্রতীক ইস্যুতে উদ্ধবদের পালটা দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।
নির্বাচন কমিশন একনাথ শিণ্ডে শিবিরকে শিব সেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই ফুঁসছেন উদ্ধব ঠাকরে। শনিবার সরাসরি বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে উদ্ধব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দলদাসে পরিণত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাসত্ব করছেন কমিশনাররা। উদ্ধব ঠাকরে বলছেন, বালাসাহেবের (Balasaheb Thackeray ) নাম সবাই ব্যবহার করতে চায়। এককাঠি উপরে উঠে উদ্ধব শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউত অভিযোগ করেছেন, শিব সেনার প্রতীক বিক্রি করেছে নির্বাচন কমিশন। শিণ্ডে শিবিরকে প্রতীক পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপির কাছে ২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাউতের এই অভিযোগের পালটাও এসেছে। শিণ্ডে শিবিরের এক বিধায়ক প্রশ্ন করেছেন, সঞ্জয় রাউত কি কোষাধ্যক্ষ? কী করে জানলেন যে টাকার লেনদেন হয়েছে?
এসবের মধ্যে আবার উদ্ধব ঠাকরেকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে সত্য প্রতিফলিত হয়েছে। যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে, সেই মিথ্যুকদের ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সরাসরি নিশানা করে অমিত শাহ বলে দিচ্ছেন, “নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সত্যি প্রকাশ্যে এসেছে। আমি বলব সত্যমেব জয়তে প্রতিষ্ঠিত হল।” শাহর বক্তব্য, যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বড় বড় কথা বলত, তাঁরা যেন দেখে নেয় সত্য কাদের সঙ্গে আছে। আমাদের কথা ভুলে যান, ওরা বালাসাহেবের আদর্শকে পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়েছে।
অমিত শাহর অভিযোগ, ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলেই জানত আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জোট করে লড়ছি। দেবেন্দ্র ফড়ণবিস আমাদের নেতা। ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগির কোনও প্রশ্নই ছিল না। অথচ, ভোটের পর স্রেফ মুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভে ওরা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের পা চাটা শুরু করল। শাহ বলছেন, ভোটে হার-জিত আছেই। কিন্তু যারা বেইমানি করে, তাদের ছাড়া উচিত হবে না। কারণ বেইমানদের ছেড়ে দিলে তাঁদের সাহস আরও বেড়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.