সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কোভিডের সময় প্রধানমন্ত্রীর থেকে অনেক বেশি দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) করছাড়ের সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ বিশেষ সুবিধা পায়নি। তবে, ওই সময় বাংলার মানুষের হাতে নগদের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন মমতা।
বাংলার বড় বড় কর্পোরেট হাউসের প্রতিনিধিদের মাঝে বসে দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে অমিত মিত্র বলেন, “কোভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেটদের ট্যাক্সে ছাড় দিলেন। ভাবলেন, উদ্বৃত্ত টাকায় জনসেবা করবে সেই সংস্থাগুলি। অথচ বাস্তবে কর্পোরেটগুলির লভ্যাংশ বৃদ্ধি পেল। সেখানে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত সাধারণ মানুষের হাতে নগদের যোগান দিয়ে গিয়েছিলেন। যার ফলে সেই টাকাই ফিরে এসেছিল বাজারে। তাই বাংলায় কোভিডের (COVID-19) মন্দার প্রভাব সেই অর্থে পড়েনি। এটা দুরদর্শিতার বিষয়।”
অমিত (Amit Mitra) যখন এই কথা বলছেন, তখন ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাতে দেখা যায় তাঁর ঠিক পাশে বসে থাকা কর্পোরেট প্রতিনিধিদের। অবশ্য শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডারেই থেমে থাকছে না বাংলার জনমুখী প্রকল্প। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে এই ধরনের আরও বেশ কিছু জনমোহিনী প্রকল্প আসতে চলেছে বলেই খবর। রাজ্যে শিল্পায়নের বিভিন্ন যে নমুনার কথা এদিন উঠে এল, তার মধ্যে অন্যতম টিটাগড় রেল সিস্টেমে বন্দে ভারতের ৮০টি ট্রেন তৈরির খবর। বিএইচইএল বা ভেল-এর (BHEL) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিপুল কর্মকাণ্ড আয়োজন হতে চলেছে। ১৬টি বগি বিশিষ্ট এই ট্রেন তৈরিতে যেমন হবে বিপুল বিনিয়োগ, তেমনই হবে প্রচুর কর্মসংস্থানও।
বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনের (BGBS) প্রস্তুতিতে গত দু’দিন রাজধানীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনাসভায় অংশ নেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। আগেরদিন ৪০-এর বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন সাতটি কর্পোরেট সংস্থার প্রতিনিধি ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলোচনা করেন অমিত মিত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.