ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বধর্ম সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে পড়ুয়াদের নানা ধর্মের প্রার্থনা শেখানো হয়েছিল। সেই রীতি মেনেই স্কুল শুরুর আগে কলমা পড়েছিল পড়ুয়ারা। সেই ‘অপরাধে’ গঙ্গাজল দিয়ে স্কুল শোধন করল স্থানীয় বিজেপি নেতারা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই ঘটনায় বিশদ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে চারটি ধর্মের প্রার্থনা শেখানো হয়। গায়ত্রী মন্ত্র, কলমা (Kalima) ছাড়াও খৃষ্টান ও শিখ ধর্মের প্রার্থনা করে পড়ুয়ারা। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ১২-১৩ বছর ধরে এই পরম্পরা চলে আসছে। কেউ কোনওদিন এই নিয়ে আপত্তি করেনি। কিন্তু দিন চারেক আগে এক পড়ুয়ার অভিভাবকদের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই প্রথা। তার বদলে স্কুল শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার নিয়ম করা হয়। গত শনিবার থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই স্কুলের (Uttar Pradesh School) সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। কানপুরের জেলাশাসকের কাছে স্কুলের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। সোমবার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা (BJP Leaders) মহেন্দ্র শুক্লা এবং ধীরাজ সাহু ওই স্কুলে যান। সেখানে গিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে এও জানান, গঙ্গাজল দিয়ে পুরো স্কুল শোধন করা হয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন,”কী করে পড়ুয়াদের কলমা পড়তে বলা হচ্ছে? এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”
ইতিমধ্যেই গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ওই স্কুলের দু’টি শাখার সামনেই বিপুল পরিমাণে পুলিশ বাহিনিত মোতায়েন করা হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি তুলেছে বিজেপি মহিলা মোর্চা। সংগঠনের তরফে গীতা নিগম জানিয়েছেন, অনলাইন ক্লাসের সময়ে কিন্তু পড়ুয়াদের কলমা পড়ানো হতো না। কারণ সেই সময়ে অভিভাবকদের চোখের সামনে থাকত পড়ুয়ারা। তিনি বলেছেন, “পড়ুয়াদের যদি মুসলিম প্রার্থনা শেখাতে হয়, তাহলে মাদ্রাসায় ভরতি করে দেওয়া হোক। কলমায় বলা হয়, আল্লাই একমাত্র ঈশ্বর। আল্লা ছাড়া আর কোনও ইশ্বর নেই।” ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন কানপুরের এসিপি নিশান্ত শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.