ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়াদ বেড়েছে লকডাউনের। তাল মিলিয়ে বেড়েছে সতর্কতা। ফলে যে সকল নিয়মাবলী প্রথমবার লকডাউনের সময় জারি করা হয়েছিল, এবার সেই নিয়মাবলীতে সংশোধন (Revised Guidelines) আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংশোধীত নির্দেশিকা মেনে প্রকাশিত হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী চালু করতে হবে অনলাইন শিক্ষা। প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে দূরদর্শনও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমকে।
লকডাউন জারি হওয়ার অনেক আগেই তালা পড়েছে দেশের বিভিন্ন সরকার ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। ফলে পড়শোনা শিকেয় তুলে ছুটির মুডে কঁচিকাঁচারা। তবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক বাকি শিক্ষার্থীদের কপালে। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি না খুললে আটকে পড়ছে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রথমে করোনা সংক্রমণের জের, পরে লকডাউনের প্রভাবে প্রায় ১ মাসের উপরে বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, টিউশন সেন্টারগুলি। তবে পড়াশোনার পাঠ একেবারে শিকেয় না তুলে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার দাবি তোলা হয়। সেই দাবি মেনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়, “প্রতিটি রাজ্যে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কড়া নজরদারি চালানো হবে। কোন কোন রাজ্যে লকডাউনের নিয়মাবলী পালন করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতেই নির্ণয় করা হবে সেই এলাকায় আইনকে শিথীল করা হবে কিনা।” তবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে দূরদর্শন-সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমগুলির থেকে।
ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের কথা ভেবে বিভিন্ন বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের তত্ত্বাবধানে অনলাইনে পড়াশোনা শুরু করানো হয়েছে। আইসিএসই সিবিএসই-র মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করে পড়ুয়াদের জন্য হোমটাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই শিক্ষার অনুষ্ঠানগুলিতে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও নিয়ে আসা হয়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পড়ুয়াদের যাবতীয় প্রশ্ন ও পড়াশোনায় গতিবৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি বৃদ্ধি হলেও সেই ক্লাসরুম, ছুটির ঘণ্টা, টিফিন ভাগ করে খাওয়ার আনন্দ আপাতত লকডাউনের হিসাবের খাতায় তুলে রাখাই ভাল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.