সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই হরিয়ানার পুর নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসক বিজেপি-জেজেপি জোট। ৩টি পুরনিগমের নির্বাচনে দুটি মেয়র পদ হাতছাড়া হল শাসক শিবিরের। আবার কাউন্সিলর পদেও শাসক শিবিরকে সমানে সমানে টক্কর দিল কংগ্রেস, হরিয়ানা জনচেতনা পার্টি এবং নির্দলরা। পুরসভার নির্বাচনেও ৪টির মধ্যে ৩টি হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। অথচ, ২০১৮ সালে রাজ্যের ৫ পুরনিগমের নির্বাচনে বিরোধীরা খাতা পর্যন্ত খুলতে পারেনি।
কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই হরিয়ানার ৩ পুরনিগম এবং চারটি পুরসভার নির্বাচন হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar) এই নির্বাচনে বিজেপি-জেজেপি জোটের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয়নি। কৃষক বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল শোনিপথে ১৪ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন কংগ্রেসের (Congress) মেয়র পদপ্রার্থী। এই শোনিপথই জেজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের ঘরের মাঠ আম্বালার মেয়র পদে জিতেছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিনোদ শর্মার হরিয়ানা জন চেতনা পার্টি। আম্বালায় বিজেপির এই হারে রীতিমতো মিষ্টি বিতরণ করে বিজয় মিছিলের আয়োজন করতে দেখা যায় কৃষকদের। একমাত্র পাঞ্চকুলায় মেয়র পদটি দখল করতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। পুরসভাগুলির মধ্যে একমাত্র রেওয়ারিতে চেয়ারপার্সন পদে জিতেছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী। বাকি সাম্পলা, ধারুহেরা, উকলানায় জিতেছেন বিরোধী জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা।
রাজ্যে শাসকের আসনে থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে এহেন ফলাফল বিজেপি-জেজেপি (JJP) জোটের জন্য যে বড় ধাক্কা, সেটা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেস একা লড়াই করে এবং নির্দলদের সমর্থন করে গেরুয়া শিবিরকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে হরিয়ানার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের প্রতীকে নাও লড়তে পারে শাসক শিবির। কারণ শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামের নির্বাচনে কৃষি আইনের প্রভাব অনেক বেশি পড়ার কথা। গতকালই, ফলাফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার হরিয়ানার বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে অধিকাংশ বিজেপি নেতাই পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের প্রতীকে না লড়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.