সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এপ্রিলে আছড়ে পড়া করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। আর এর জেরে হু হু করে কমেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জনপ্রিয়তা। এমনটাই দাবি এক ভারতীয় ও এক মার্কিন সংস্থার সমীক্ষার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এই সমীক্ষাগুলির রিপোর্ট গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়াবে।
ভারতীয় সংস্থা ‘সিভোটার’-এর সমীক্ষা বলছে, দেশের মাত্র ৩৭ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনের বিষয়ে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’। প্রসঙ্গত, গত বছর এই মত ছিল ৬৫ শতাংশের। পাশাপাশি মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর সমীক্ষার হিসেব বলছে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার সার্বিক সূচক রয়েছে ৬৩ শতাংশে। তাঁর বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন ৩১ শতাংশ। গত এপ্রিলে মোদির জনপ্রিয়তা একধাক্কায় ২২ পয়েন্ট কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে এই সংস্থা মোদির জনপ্রিয়তার হিসেব রেখেছে। এই প্রথম তা এতটা কমল। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বহু রাষ্ট্রনেতার জনপ্রিয়তার গ্রাফ নির্মাণের কাজই করে এই সংস্থাটি।
এই দুই সংস্থার প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের মসনদে বসার পর থেকে এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক মানুষ মোদির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। ‘সিভোটার’-এর প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত দেশমুখ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এবিষয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন।’’ তবে এই সমীক্ষা থেকে এটাও বোঝা যাচ্ছে, যতই জনপ্রিয়তা কমুক, এখনও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার নাম কিন্তু নরেন্দ্র মোদিই।
করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ এদেশে আছড়ে পড়ার পর থেকেই দেখা যায় অক্সিজেনের ঘাটতি, হাসপাতালে বেডের অভাব। এদিকে মে মাস থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও টিকার ডোজের ঘাটতিতে তা শুরু করা যায়নি সেভাবে। ফলে বেড়েছে ক্ষোভ। তারই ফলশ্রুতি মোদির জনপ্রিয়তার রেখচিত্রের এই অধোগতি। এর আগে বহু বিদেশি সংবাদমাধ্যমই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ প্রকোপের মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.