Advertisement
Advertisement
Pralay

তাওয়াং সংঘর্ষের আবহে চিনকে রুখতে সেনার হাতে ‘প্রলয়’! নিঃশব্দ হুঁশিয়ারি ভারতের

১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্যালিস্টিক মিশাইল প্রলয়।

Amid border row with china now defence forces to induct 'Pralay' missiles | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 21, 2022 10:54 am
  • Updated:December 21, 2022 10:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাওয়াং সংঘর্ষে (Tawang Clash) হাওয়া গরম ভারত-চিন সীমান্তে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করছে চিন (China)। সাম্প্রতিক একটি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ‘প্রলয়’ (Pralay) হাতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LOC) চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘাতের আবহে আগামী কিছুদিনের মধ্যে্ ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) প্রলয় সেনার হাতে আসছে।

২০২১ সালের অগস্ট মাসে ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে প্রলয়ের চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা হয়েছিল। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) তথ্য অনুযায়ী দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহারে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বীর আদলে তৈরি ‘প্রলয়’। তুলনায় হালকা ব্যালিস্টিক মিশাইল। মাঝ আকাশে গতিপথ বদলাতে সক্ষম। ফলে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে প্রলয়। মনে করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী দুর্গম প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভারতীয় সেনার কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে প্রলয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! আতঙ্কে কাঁটা মন্দিরের ভক্তরা, দেখুন ভিডিও]

প্রসঙ্গত, তাওয়াং সংঘর্ষের পরেই সীমান্ত এলাকায় মহড়া শুরু করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার। তারপরেই চিনা যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে চিনের বাংদা এয়ারবেসে ‘সোরিং ড্রাগন’ নামে শক্তিশালী ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত নজরদারির জন্যই এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়। টানা দশ ঘণ্টা ধরে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। সামরিক আক্রমণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা ও তৎক্ষণাৎ পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ড্রোনে। উল্লেখ্য, ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে এহেন ড্রোন নেই।

[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছি’, ভারত জোড়ো যাত্রায় বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের]

উপগ্রহচিত্রে আরও দেখা গিয়েছে, দু’টি ফ্ল্যাঙ্কার ফাইটার জেটও মোতায়েন করা হয়েছে বাংদায়। রুশ সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারত। ফ্ল্যাঙ্কার বিমানগুলিও একই গোত্রে পড়ে, তবে এই বিমানগুলি চিনের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। আরও জানা গিয়েছে, ভারতে হামলা চালানোর জন্য তিব্বতের মাটিতে বিশেষ মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতায় এই মহড়া চালানো হয়েছে, যেন অরুণাচলের পার্বত্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে সেনা। উলটো দিকে দ্রুত সেনার হাতে ‘প্রলয়’ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement