সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরণাপন্ন রোগীকে ফেলে স্কুলে ভাড়া খাটছে এলাকার একমাত্র অ্যাম্বুল্যান্সটি৷ ফলে চরম দুর্ভোগ মাথাচাড়া দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে৷ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন ছত্তিশগড়ের মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দারা৷ জানান হয়েছে প্রশাসনকে৷ কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি৷ আর মিলবেই বা কী করে৷ বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের মদতেই এমন চক্র কাজ করছে এলাকায়৷
[আধার কর্তৃপক্ষের নম্বর বিভ্রাটের কারণ প্রকাশ্যে, দায় স্বীকার নামী সংস্থার]
মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় যে অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে প্রয়োজনে সেটিকে পাওয়া যায় না৷ বিশেষ করে স্কুল টাইমে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের দেখা পাওয়া ভগবানের দেখা পাওয়ার সমান বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা৷ কারণ, ওই সময়ে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে ছোটে সেই অ্যাম্বুল্যান্স৷ সেটি ভাড়া খাটে স্কুল বাসের ভূমিকায়৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন জ্বলন্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকাবাসী৷ সমস্যা জানিয়ে তাঁরা শরণাপন্ন হয়েছেন প্রশাসনের, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷ নিরুত্তাপ রয়েছে প্রশাসন৷ ওই অ্যাম্বল্যান্সের চালকের সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ্যে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ তিনি জানিয়েছেন, চিফ মেডিক্যাল অফিসারের নির্দেশেই নাকি রমরমিয়ে চলছে অ্যাম্বুল্যান্সের এই বেআইনি ব্যবহার৷
[সোপিয়ানে খতম ৫ জঙ্গি, এলাকায় জোর তল্লাশি ভারতীয় সেনার]
জানা গিয়েছে, যে স্কুলের হয়ে ভাড়া খাটে অ্যাম্বুল্যান্সটি, পাঁচ মাস আগেই একটি নতুন বাস কিনেছে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ তবে কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই বাস ব্যবহার করা হয় না৷ তার বদলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে চলছে পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ও বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ৷ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এই বেহাল দশা দেখে অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা প্রথম নয়৷ এর আগে, উত্তরপ্রদেশের কনৌজেও ধরা পড়েছে এমন চিত্র৷ সেখানে দেখা গিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রোগীর বদলে বহন করা হচ্ছে ব্যক্তিগত সরঞ্জাম এবং মালপত্র৷ যা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি৷ কিন্তু তাতেও যে খুব একটা লাভ হয়নি ছত্তিশগড়ের মহেন্দ্রগড়ের ঘটনা তারই প্রমাণ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.